ফাইল চিত্র।
ছট পুজোর পরেই আনুষ্ঠানিক ভাবে গোটা রাজ্যে দুয়ারে রেশন চালু করার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে জেলাশাসকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সূত্রের খবর, দু’টি বিষয়ে প্রস্তুতি চূড়ান্ত করার উপর জোর দিচ্ছে নবান্ন। প্রথমটি আধার সংযোগের কাজ দ্রুত শেষ করা এবং দুই, সঠিক পরিমাণে উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছনোর রূপরেখা তৈরি করা।
এক দেশ এক রেশন কার্ড কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় রাজ্যে ডিজিটাল রেশন কার্ডগুলির সঙ্গে উপভোক্তাদের আধার যোগের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। খাদ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, এ কাজ শেষ হলে দেশে অভিন্ন রেশন ব্যবস্থা যেমন চালু হবে, তেমনই রাজ্যের নিজস্ব দুয়ারে রেশন প্রকল্পে উপভোক্তাদের রেশন বেহাত হওয়া ঠেকানো সম্ভব। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭০% কার্ডের সঙ্গে আধার যোগ করা গিয়েছে। ফলে বাকি প্রায় ৩০% রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার যোগ দ্রুত করতে জেলাগুলিকে জোর দিয়েছে নবান্ন।
জেলা-কর্তাদের অনেকেই মনে করছেন, ছট পুজোর পরে যখন দুয়ারে রেশন সার্বিক ভাবে চালু হবে, তখনও কিছু সংখ্যক রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার যোগের কাজ বাকি থাকতে পারে। তাতে অবশ্য প্রকল্প চালু হওয়া আটকাবে না। তবে আধার যোগের বেশিরভাগ কাজটা সেরে ফেলা গেলে অনেকটাই নিশ্চিন্ত হবে সরকার। কারণ, তখন ই-পস যন্ত্রে বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে বাড়িতে থেকেই রেশন সংগ্রহ করতে পারবেন উপভোক্তারা। প্রত্যেকের রেশন নিশ্চিত করাও প্রশাসনের পক্ষে
সহজ হবে।
জেলা প্রশাসনগুলি জানাচ্ছে, দ্বিতীয় পর্যায়ে যথাযথ ওজনের সামগ্রি উপভোক্তারা যাতে পান, তা নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ। ফলে কী ভাবে সেই পদ্ধতি অভিযোগমুক্ত রাখা যায়, সেই কৌশল স্থির করতে হবে জেলা কর্তাদের। এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা রাখতে উপভোক্তার সামনে ওজনযন্ত্রে রেশন সামগ্রির প্যাকেটের ওজন মাপার বন্দোবস্ত করা যায় কি না, সে বিষয়ে একটা ভাবনাচিন্তা চলছে। যত দ্রুত সম্ভব এই পদ্ধতি স্থির করে ফেলতে হবে জেলা প্রশাসনগুলিকে। পাশাপাশি, রেশন বিলির ভার যেহেতু রেশন ডিলারদের উপরেই থাকছে, ফলে তাঁদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনগুলিকে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে।
এক জেলা কর্তার বক্তব্য, “দুয়ারে রেশনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে কোথায় কী সমস্যা হচ্ছে, তা এর মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকল্প চালুর আগে সেগুলি সংশোধন করে ফেলা জরুরি। তাই নজরদারির প্রশ্নে যাতে কোনও খামতি না থাকে, তাই নিশ্চিত করতে চাইছে নবান্ন।”