—প্রতীকী চিত্র।
সরকারি আধিকারিকদের একাংশের আয়-ব্যয় এবং সম্পত্তির হিসাব দাখিল করতে অনলাইন পরিষেবা চালু করছে রাজ্য সরকার। গত সপ্তাহে কর্মী বিনিয়োগ ও প্রশাসনিক দফতর থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করছে রাজ্য সরকার। সেই পোর্টালে গিয়ে নিজেদের আয়-ব্যয় এবং সম্পত্তির পরিমাণ জানাতে পারবেন রাজ্যের ডব্লিউবিসিএস এবং ডব্লিউবিসিএস স্তরের আধিকারিকেরা। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কর্মরত কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকদের জন্য নির্দিষ্ট একটি পোর্টাল রয়েছে। যেখানে গিয়ে চাকরির শর্ত অনুসারে, নিজেদের বার্ষিক আয়-ব্যয় এবং সম্পত্তির পরিমাণ জানান তাঁরা। এ বার পশ্চিমবঙ্গে কর্মরত ডব্লিউবিসিএস এবং ডব্লিউবিসিএস স্তরের আধিকারিকদের জন্য একই ধাঁচে পোর্টাল চালু করা হচ্ছে।
প্রশাসনিক স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারি আধিকারিকেরা বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় নিজেদের আয়-ব্যয় এবং সম্পত্তির খতিয়ান জমা দেন সরকারের কাছে। প্রতি বছর ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ডব্লিউবিসিএস এবং ডব্লিউবিসিএস স্তরের আধিকারিকেরা কাগজে-কলমে নিজেদের সম্পত্তির হিসাব জমা দিতেন। কিন্তু এ বার থেকে তাঁরা নিজেদের আয়-ব্যয় এবং সম্পত্তি সংক্রান্ত হিসাব অনলাইনে জমা দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রশাসনিক কাজের জন্য ওই পর্যায়ে আধিকারিকেরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। তাই একটি নির্দিষ্ট সময় সম্পত্তির পরিমাণ জানাতে তাদের কলকাতায় আসতে হয়। অনেক সময় কাজের চাপে আধিকারিকেরা সঠিক সময় তা জমা দিতে পারেন না। ফলে তাঁদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। এমনই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজ্য সরকার অনলাইনে সম্পত্তি সংক্রান্ত হিসাব নেওয়ার পদ্ধতি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে বসে অনলাইনে যাবতীয় হিসাব জমা দেওয়া সম্ভব হয় আধিকারিকদের পক্ষে।
নতুন এই পরিষেবায় জানানো হয়েছে, অনলাইনে সম্পত্তির খতিয়ান জানানোর পর একটি স্বীকারপত্র অনলাইনেই দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে। যা প্রিন্ট করে আধিকারিকেরা নিজের কাছে হিসাব দাখিলের প্রমাণ হিসাবে রেখে দিতে পারবেন। তবে নতুন এই পরিষেবা চালুর পাশাপাশি, আপাতত অফলাইনেও সম্পত্তির খতিয়ান জানানোর সুবিধা রাখা হচ্ছে বলে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। এই নির্দেশিকার পর রাজ্য সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রশাসনিক কাজে আধিকারিকদের বেশি করে সুবিধা করে দিতেই নতুন এই পরিষেবা চালু করেছে রাজ্য সরকার। যাতে তাঁরা নিজেদের সুবিধা মতো সঠিক সময়ের মধ্যে ওই হিসাব পোর্টালে জমা করতে পারেন। বছরের শুরুতেই পোর্টালটি চালু করে দেওয়া হচ্ছে যাতে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আধিকারিকেরা এই বিষয়ে সড়গড় হয়ে উঠতে পারেন।