বিয়ের অনুষ্ঠানে আমির খান, নূপুর শিখরে এবং আইরা খান। ছবি: সংগৃহীত।
খান পরিবারের নতুন বছর শুরু হয়েছে বিয়ের সানাইয়ের সুরে। গত বছর বাগ্দান সারার পরে নতুন বছরের শুরুতেই বিয়ে করেছেন আমির খানের কন্যা আইরা খান। মুম্বই থেকে শুরু হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। গত ৩ জানুয়ারি মায়ানগরীর এক বিলাসবহুল হোটেলে সইসাবুদ করে আইনি বিয়ে সারেন আইরা। পাত্র, দীর্ঘ দিনের প্রেমিক ও ফিটনেস প্রশিক্ষক নূপুর শিখরে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আত্মীয়, পরিজন ও বর-কনের কাছের বন্ধুরা। পারিবারিক অনুষ্ঠানের পর রাজস্থানের উদয়পুরে বসেছিল জমকালো বিয়ের আসর। উদয়পুরের এক বিলাসবহুল হোটেলে ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় আইরা ও নূপুরের বিয়ের অনুষ্ঠান। গায়েহলুদ, মেহেন্দি, সঙ্গীতের মতো অনুষ্ঠানের পরে সাদা গাউনে সেজে ক্রিশ্চানদের ‘হোয়াইট ওয়েডিং’-এর আদলে নূপুরের হাতে হাত রাখেন আইরা। তার দিন কয়েক পরে ১৩ জানুয়ারি মায়ানগরীতে নবযুগলের রিসেপশন পার্টি। সব অনুষ্ঠানের পালা মিটে গিয়েছে বটে। তবে এখনও নিজের বিয়ের ছবি দেখেই চলেছেন আইরা। বিয়ের ছবি সমাজমাধ্যমের পাতায় সবার সঙ্গে ভাগও করে নিচ্ছেন আমির-কন্যা। এমনই এক ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করতে গিয়ে আইরা ফাঁস করলেন এক গোপন তথ্য!
মেয়ের আইনি বিয়ের অনুষ্ঠানের একাধিক ছবিতেই দেখা গিয়েছিল আমিরের আবেগপ্রবণ ছবি। ছবি: সংগৃহীত।
মেয়ের বিয়ে বলে কথা, বাবার চোখের কোণে জল থাকাটাই স্বাভাবিক। আমির নিজেও ব্যতিক্রম নন। মেয়ের আইনি বিয়ের অনুষ্ঠানের একাধিক ছবিতেই দেখা গিয়েছিল আমিরের আবেগপ্রবণ ছবি। সেই ছবি সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করে আইরা দাবি করলেন, আমিরের কান্নাকাটি নাকি তাঁর অভিনয়মাত্র! ৩ জানুয়ারির আইনি বিয়ের অনুষ্ঠানের একটি ছবি পোস্ট করে এমন কথা লেখেন আইরা। তবে, আমির-কন্যা এ জানাতেও ভোলেননি যে, পরবর্তী কালে নাকি সত্যিই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন তাঁর বাবা। শুধু আমিরের ওই আবেগপ্রবণ মুহূর্তেরই নয়, আরও অনেক মজাদার মুহূর্তের ছবি সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করেছেন আইরা।
মুম্বইয়ে নিজের আইনি বিয়েতে শাড়ি বা লেহঙ্গা নয়, হারেম প্যান্ট, ব্লাউজ় ও ওড়নায় সেজেছিলেন আইরা। অন্য দিকে, আট কিলোমিটার দৌড়ে গেঞ্জি ও হাফপ্যান্ট পরে সোজা বিয়ের মঞ্চে এসে উঠেছিলেন নূপুর। উদয়পুরে মেহেন্দির অনুষ্ঠানের জন্য হালকা গোলাপি রঙের পোশাকে সেজেছিলেন আমির-কন্যা। কনের পোশাকের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে অন্দরসজ্জাতেও গোলাপি আভা। সেই অনুষ্ঠানে যদিও গেঞ্জি ও শর্টস পরেননি নূপুর। গোলাপি ও বাদামি রঙের পোশাকে সেজেছিলেন তিনি। মেহেন্দির পরে পাজামা পার্টিতে নীল রঙের লুঙ্গি পরে ‘লুঙ্গি ডান্স’ গানে নেচেওছিলেন নূপুর।