ফাইল ছবি
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র যাতে ‘ইনস্টিটিউট অব এমিনেন্স’ বা উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকে বাদ না-দেয়, সেই জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রককে চিঠি দিল রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর। রাজ্য সরকার কতটা অর্থ দেবে, তা সুস্পষ্ট ভাবে জানানো হয়নি— এই কারণ দেখিয়ে যাদবপুরকে কেন্দ্রীয় সরকার ওই মর্যাদা দিতে পারছে না বলে কিছু দিন আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউজিসি।
কয়েক বছর আগে কেন্দ্র দেশের অন্য কয়েকটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যাদবপুরকেও দেশের উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেছে নিয়েছিল। পরে এই মর্যাদার সঙ্গে এক হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা প্রকল্পের সিদ্ধান্তও ঘোষণা হয়। শর্ত ছিল, রাজ্য সরকারকে ওই টাকার ২৫ শতাংশ দিতে হবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস সম্প্রতি জানান, দু’বছর আগে সেই সময়ে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করে এবং সম্মতি নিয়ে তিনি নিজে গিয়ে তৎকালীন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের আর্থিক অবস্থা যা, তাতে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। তাদের ৮০০ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা করা হোক। যার ২৫ শতাংশ অর্থ যাদবপুর নিজেদের থেকেই দিয়ে দেবে। কিন্তু তার পরেও ইউজিসি-র সাম্প্রতিক বৈঠকে যাদবপুরকে এই সম্মান থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে শিক্ষা সূত্রের খবর।
এই অবস্থায় কোনও রকম ব্যয় সঙ্কোচন না-ঘটিয়ে অবিলম্বে উৎকর্ষের তালিকায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ফিরিয়ে আনার দাবিতে আর্টস ফ্যাকাল্টির স্টুডেন্টস ইউনিয়ন এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তরফে ইউজিসি-র পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তার দফতরে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, টাকা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপড়েনের জেরে উৎকর্ষের তালিকা থেকে যাদবপুরের নাম বাদ পড়েছে। কিন্তু টাকাপয়সা উৎকর্ষের একমাত্র মাপকাঠি হতে পারে না বলে মন্তব্য করা হয়েছে ওই স্মারকলিপিতে।