কমিশনের সিদ্ধান্তকে এক হাত নিলেন সর্বভারতীয় বিজেপি-র সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শনিবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে, রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোট পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বস্তুত, নির্বাচন পিছনো নিয়ে হাই কোর্টে মামলাও করেছিল রাজ্য বিজেপি। কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে এক হাত নিলেন সর্বভারতীয় বিজেপি-র সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার সকালে তিনি বলেন, ‘‘ভোট অন্তত এক মাস পিছিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। কমিশন সবাইকে খুশি করতে গিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। করোনা পিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ভোট নয়।’’
দিলীপের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘‘আগে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট পিছনো নিয়ে উনি কিছু বলুন, তার পর উনি পুরভোট নিয়ে ভাববেন।’’
শনিবারই কমিশন ঘোষণা করে ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে। পুরভোট পিছনো নিয়ে রাজ্যের অনুরোধের পর শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সিদ্ধান্ত জানায় কমিশন। নবান্নের তরফে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয় যে, কমিশন ভোট পিছিয়ে দিলে কোনও আপত্তি নেই সরকারের। শনিবার নবান্নের চিঠি পাওয়ার পরে ভোট পিছনোয় শিলমোহর দেয় নির্বাচন কমিশন।
সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, এই পরিস্থিতিতে সব রাজনৈতিক কর্মসূচি এমনকি ভোটও পিছিয়ে দেওয়া উচিত। তবে, তার পরই বলেছিলেন এটা তাঁর ‘ব্যক্তিগত মত।’ এ নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। কিন্তু পরে ভোট পিছনোর আর্জি জানায় রাজ্যও। তার পরই ভোট পিছনোর সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। সেই সিদ্ধান্তকেই কটাক্ষ করলেন দিলীপ।