State Election Commission

Panchayat Election: জেলায় জেলায় প্রস্তুতি শুরু করার নির্দেশ দিল কমিশন, রাজ্যে এগোতে পারে পঞ্চায়েত ভোট

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, কমিশনের যে-বার্তা জেলাগুলিতে পৌঁছেছে, তাতে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ করে ফেলতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২২ ০৭:৩২
Share:

ফাইল চিত্র।

সময়ের বিচারে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা ২০২৩ সালের মে মাসে। তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কিছু তৎপরতা দেখে পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসার চালু জল্পনা আরও জোরদার হচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহলে। জেলায় জেলায় প্রস্তুতি শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। কী রকম প্রস্তুতি? সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, প্রাথমিক পর্যায়ে আসন ‘ডিলিমিটেশন’ বা পুনর্বিন্যাস এবং সংরক্ষণের কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। অনেক প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকই জানাচ্ছেন, ভোট-প্রস্তুতির দিক থেকে এই দু’টি কাজই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই দুই কাজে নেমে পড়ার বার্তার মধ্যে পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আনার ইঙ্গিত মিলছে।

Advertisement

সূচি অনুযায়ী আগামী মে নাগাদ পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা থাকলেও প্রশাসনের অনেকের অনুমান, আগামী বছরের গোড়াতেই ওই ভোট করানো যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ইঙ্গিত দিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হতে পারে যে-কোনও সময়েই। তাই দ্রুত বকেয়া কাজকর্ম শেষ করতে হবে। নির্বাচন এগোনোর পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হলে ভোট-প্রস্তুতি সেরে রাখতে হবে তার আগেই। সম্ভবত সেই কারণে আসন পুনর্বিন্যাস আর সংরক্ষণের ‘সময়সাপেক্ষ’ দু’টি কাজই আগেভাগে সেরে রাখতে চাইছে কমিশন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, কমিশনের যে-বার্তা জেলাগুলিতে পৌঁছেছে, তাতে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। প্রায় একই সময়সীমা দেওয়া হয়েছে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে। অভিজ্ঞ আধিকারিকদের অনেকেই জানাচ্ছেন, পঞ্চায়েত স্তরে পুনর্বিন্যাসের কাজ হয় বিডিও-র তত্ত্বাবধানে। পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব থাকে যথাক্রমে মহকুমাশাসক ও জেলাশাসকের হাতে। পঞ্চায়েত স্তরে সংরক্ষণের প্রক্রিয়া চালানো হয় আসনের ভিত্তিতে। পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ পর্যায়ে তা করা হয় নির্বাচনী কেন্দ্রের নিরিখে। এক জেলা-কর্তা বলেন, “কমিশন এই সব কাজের প্রস্তুতি শুরু করতে বলেছে। দু’টি কাজ হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট তালিকা সম্ভবত একই সময়ে প্রকাশিত হবে। তবে কোন সময়ে তা প্রকাশ করা হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’’ পঞ্চায়েত ভোটের ক্ষেত্রে একটি নির্বাচন বাদ দিয়ে পুনর্বিন্যাসের কাজ হয়ে থাকে। ২০১৩ সালের ভোটের আগের বছর এই প্রক্রিয়া চালানো হয়েছিল। ২০১৮ সালে তা হয়নি। আগামী বছর নির্ধারিত পঞ্চায়েত ভোটের আগে আবার এই কাজ শুরু হচ্ছে।

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এরই সঙ্গে অবশ্য বাকি প্রক্রিয়াগুলি চালু হবে সময়ে সময়ে। যেমন ব্যালট জোগাড় করা, ব্যালটের কাগজ ছাপানো, ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ। এগুলো তেমন সময়সাপেক্ষ নয়। ফলে মূল কাজগুলি শেষ পর্যায়ে পৌঁছলে এই কাজগুলিও শুরু করতে বাধা নেই।

প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের পরে দফায় দফায় রাজ্যের বাকি থাকা সব পুরসভার ভোট সেরে ফেলেছিল সরকার। পঞ্চায়েত ভোটের ক্ষেত্রে তাই খুব একটা দেরি না-ও করা হতে পারে। তবে এ বছর মেমাসের আশেপাশে যে-ভীষণ গরম পড়েছিল, আগামী বছরের আবহাওয়া তেমন থাকলে ভোট পরিচালনায় খুব সমস্যা হতে পারে। সেই জন্য আবহাওয়া ঠান্ডা থাকতে থাকতে ভোট সেরে ফেলার ভাবনাচিন্তা চলছে প্রশাসনের অন্দরে। তবে নবান্নের তরফে চূড়ান্ত কোনও বার্তা পাওয়া যায়নি এখনও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement