প্রস্তুতি বৈঠকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ফাইল ছবি।
আগামী ১৯ নভেম্বর কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোট। সেই উপলক্ষে শনিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের ডিজি এবং অন্য উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। কী ভাবে নির্বিঘ্নে ভোট করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
শনিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের ডাকে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা, রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য, এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। বৈঠকে ভোট কী ভাবে নির্বিঘ্নে করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়। করোনার সময় কী কী বিধি নিষেধ রয়েছে তা নিয়েও কথা হয় বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে নবান্ন।
গোটা রাজ্যের সমস্ত পুরসভায় ভোট না করে কেন শুধুমাত্র হাওড়া ও কলকাতায় ভোট হচ্ছে তা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। আগামী মঙ্গলবার সেই মামলার রায় দিতে পারে হাই কোর্ট। সে দিকে তাকিয়ে রয়েছে কমিশন এবং রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চায় না কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, এ বারের পুরভোট হবে ইভিএম দিয়ে। সে জন্য নিজস্ব ইভিএম কিনে ফেলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে ভোটে ব্যবহার করা হবে না ভিভিপ্যাট। বুথের নিরাপত্তা কী ভাবে সুনিশ্চিত করা যায়, তা রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে জানতে চেয়েছে কমিশন। এই বিষয়ে ডিজি-কে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।