প্রতীকী ছবি।
নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা সত্ত্বেও বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে-প্রত্যন্তে চিকিৎসকের, বিশেষত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রচণ্ড অভাব। হৃদ্যন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যার মতো জরুরি ক্ষেত্রে মফস্সলবাসীরা যাতে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না-হন, সেই জন্য কলকাতা থেকে চিকিৎসক পাঠিয়ে সমস্যার যথাসম্ভব সুরাহার বন্দোবস্ত করছে রাজ্য সরকার। এই নতুন ব্যবস্থা শুরু হচ্ছে বাঁকুড়া দিয়ে।
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ক্যাথল্যাব পরিষেবা চালু হচ্ছে। কিন্তু সেখানে কার্ডিয়োলজি বিভাগে চিকিৎসক আছেন মাত্র চার জন। তাই ক্যাথল্যাবের পরিষেবা সচল রাখতে এসএসকেএম (পিজি) হাসপাতাল থেকে সপ্তাহে দু’দিন চিকিৎসকেরা সেখানে যাবেন। আজ, বুধবার তাঁরা প্রথম অস্ত্রোপচারে যোগ দেবেন। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের জরুরি পরিষেবা জোগাতেই এই ব্যবস্থা বলে জানান রাজ্যের এক স্বাস্থ্য আধিকারিক।
স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম মঙ্গলবার বলেন, ‘‘প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সুপার স্পেশালিটি পরিষেবা পৌঁছে দিতে এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে। পিজি-র কার্ডিয়োলজিস্টরা গিয়ে বাঁকুড়ার কার্ডিয়োলজির ডাক্তারদের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী এই ব্যবস্থা করা হবে অন্যত্রও।’’ স্বাস্থ্য শিবির সূত্রের খবর, জেলার মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এমন পরিষেবা চালু হলে কলকাতার উপরকার চাপ কিছুটা কমবে।
বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের কার্ডিয়োলজি বিভাগে এক জন প্রফেসর, এক জন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, দু’জন আরএমও রয়েছেন। বহির্বিভাগে পরিষেবা দিতেই তাঁদের সময় কেটে যায়। ওখানে ক্যাথল্যাব তৈরি হলেও দীর্ঘকাল তা চালু হয়নি। অ্যাঞ্জিয়োগ্রাম, অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি, পেসমেকার বসানোর পরিকাঠামো থাকলেও রোগীদের যেতে হয় কলকাতায়। বাঁকুড়া মেডিক্যালের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘কলকাতা থেকে চিকিৎসক পাঠানোর পরিষেবা চালু হলে বাঁকুড়া এবং আশপাশের বিভিন্ন জেলার রোগীরা উপকৃত হবেন। পিজি থেকে সপ্তাহে দু’দিন চিকিৎসকের দল এসে পুরো কর্মকাণ্ড সামাল দিতে পারবে।’’
গত ২ মার্চ পিজি-র কার্ডিয়োলজির বিভাগীয় প্রধান শঙ্করচন্দ্র মণ্ডলের নেতৃত্বে চিকিৎসকেরা বাঁকুড়া গিয়ে পরিকাঠামো দেখে এসেছেন। আজ সেখানে গিয়ে অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করা, পেসমেকার বসানোর কাজে যোগ দেবেন তিন চিকিৎসক। রাখা হয়েছে পাঁচ জন রোগীকে। এসএসকেএম-কর্তৃপক্ষ জানান, চিকিৎসকদের কাজের চাপ দেখে বুধ ও শুক্রবার বাঁকুড়া যাওয়ার রুটিন তৈরি হচ্ছে।