সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন প্রসন্নকুমার রায়। ফাইল চিত্র।
শিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’-কাণ্ডে ধৃত প্রসন্নকুমার রায়ের গাড়িভাড়া সংস্থার আরও এক কর্মচারী সিবিআই-এর নজরে। রোহিত নামে ওই কর্মীকে বুধবার নিজাম প্যালেসে (কলকাতায় সিবিআই দফতর) তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সূত্রের খবর, শিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’-তে ধৃত ‘মিডলম্যান’ প্রসন্নের ওই সংস্থা কী ভাবে জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই সংস্থার গাড়ি শিক্ষা দফতরে ব্যবহার করা হত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্হার দফতরেও প্রসন্নের সংস্থার গাড়ি ব্যবহার করা হত বলে সূত্রের দাবি। শান্তিপ্রসাদের ফোনে প্রসন্নের সংস্থার আরও এক কর্মী প্রদীপ সিংহের নম্বর ‘সেভ’ করা রয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রদীপের নম্বর ‘ছোটু’ নামে সেভ করা রয়েছে শান্তিপ্রসাদের ফোনে। এই মামলায় আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে শান্তিপ্রসাদকে।
প্রসঙ্গত, ‘দুর্নীতি’-কাণ্ডে গত ২৪ অগস্ট গ্রেফতার করা হয়েছিল ‘মিডলম্যান’ প্রদীপকে। অভিযোগ, এসএসসির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগে ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের খুঁজে আনতেন তিনি। তার পর বোর্ডের কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতেন। তাঁকে জেরা করে সল্টলেকের যে সংস্থায় তিনি কাজ করতেন, সেখানে পৌঁছন তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই গত শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় প্রসন্নকে। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন প্রসন্ন।
সোমবার প্রসন্নকে সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে সিবিআই-এর আইনজীবী বলেছিলেন, ‘‘প্রদীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তিনি জানিয়েছেন, ‘বসের আদেশেই সব করেছি।’ এর পর প্রসন্নের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। অভিযানে বেশ কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে।’’ ‘বস্’ বলতে ঠিক কাকে ইঙ্গিত করেছেন প্রদীপ, তা অবশ্য খোলসা করেনি তদন্তকারী সংস্থা। ঘটনাচক্রে, সল্টলেকের জিডি ব্লকে প্রসন্নের গাড়ি ভাড়া দেওয়ার সংস্থায় কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে কাজ করতেন ‘মিডলম্যান’ প্রদীপ। ফলে ‘বস্’ বলতে প্রসন্নের দিকেই প্রদীপ আঙুল তুলছেন, না কি নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।