West Bengal SSC Scam

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টে চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা

এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রুপ ডি-তে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল করে দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই কর্মীদের বেতনও ফেরত দিতে হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:৩৮
Share:

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা। ফাইল ছবি।

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা। তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশের পর হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়। কিন্তু এখনও রায় ঘোষণা হয়নি। তার মাঝেই চাকরি বাতিলের নির্দেশের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে গেলেন কর্মীরা।

Advertisement

এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রুপ ডি-তে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল করে দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই কর্মীদের বেতনও ফেরত দিতে হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে চাকরি হারানো কর্মীরা প্রথমে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। বেতন ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু চাকরি বাতিলের নির্দেশ নিয়ে কোনও রায় আসেনি। শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রয়েছে ডিভিশন বেঞ্চে।

এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন করেন চাকরি হারানো ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মী।

Advertisement

এই ১৯১১ জন কর্মীর নিয়োগের বিরুদ্ধে উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ রয়েছে। গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মোট ২৮২৩ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে স্বীকার করে নিয়েছিল এসএসসি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়, এই ২৮২৩ জনের মধ্যে ১৯১১ জনকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছে। তার পরই গত ১০ ফেব্রুয়ারি এসএসসিকে আইন অনুযায়ী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বেআইনি ভাবে চাকরিপ্রাপক ১৯১১ জন গ্ৰুপ ডি কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশ দেন এত দিন ধরে চাকরি করে আয় করা বেতন ফেরত দেওয়ারও। বিচারপতি এ-ও জানিয়ে দেন, যে প্রার্থীদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হবে, তাঁরা অন্য কোনও চাকরির পরীক্ষায় আর কখনও বসতে পারবেন না।

আদালতে কর্মীদের পাল্টা যুক্তি ছিল, তাঁরা যখন শ্রম দিয়েছেন, তখন বেতন কেন ফেরাবেন? শুনানির পর বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু চাকরি বাতিলের নির্দেশ নিয়ে কোনও রায় দেওয়া হয়নি। ফলে ওই নির্দেশ বহাল রয়েছে। আগামী ৩ মার্চ হাই কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement