পার্থকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জোকা ইএসআই-তে
টানা ২৬ ঘণ্টা তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার সকালে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী (প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী) পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, নাকতলার বাড়ি থেকে পার্থকে নিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু পরে দেখা যায় গাড়ি নিয়ে ডায়মন্ড হারবার রোডে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরে মন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার জোকা ইএসআই হাসপাতালে। যা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
সাধারণত, ভিআইপি কাউকে গ্রেফতারের পর মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে তাঁদের জন্য বিশেষ কেবিনও রয়েছে। কিন্তু এ রকম কোনও কেবিন নেই জোকার ইএসআই হাসপাতালে। পার্থকে কেন ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পার্থকে গ্রেফতারের পর তাঁর নাকতলার বাড়ি থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরেছে ইডির গাড়ি। প্রথমে জানা যায়, মন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সল্টলেকে সিজিও দফতরে। পরে জানা যায়, তাঁকে সরাসরি তোলা হবে আদালতে। কিন্তু আবার বদলে যায় ইডির গাড়ির অভিমুখ। গাড়ি বেঁকে যায় বেহালার রাস্তার দিকে। পার্থের অফিসেও নিয়ে যাননি ইডি আধিকারিকেরা। শেষমেশ সাড়ে ১১টা নাগাদ গাড়ি গিয়ে থামে জোকা ইএসআই হাসপাতালের সামনে।
রাজ্যে মোট ১৪টি ইএসআই হাসপাতাল রয়েছে। তার মধ্যে ১৩টি রাজ্য সরকারের অধীনস্থ। শুধু জোকা ইএসআই-ই কেন্দ্রের অধীনে। মনে করা হচ্ছে, রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা হাসপাতালে মন্ত্রী হিসাবে পার্থ যে সব সুযোগ-সুবিধা পেতে পারতেন, তাতে রাশ টানতেই মূল কলকাতা শহর থেকে অনেকটা দূরে কেন্দ্রের অধীনে থাকা একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানিতে পার্থকে সিবিআই হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সময় উচ্চ আদালতের নির্দেশ ছিল, সিবিআই হাজিরা এড়িয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হতে পারবেন না পার্থ।