ফাইল চিত্র।
এসএসসি ‘দুর্নীতি' মামলায় ধৃত রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় আনা হল। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৩৪ মিনিট কলকাতা বিমানবন্দরে নামে পার্থের উড়ান। বিমানবন্দর থেকে মন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (যেখানে ইডির দফতর)। বিমানবন্দর থেকে হুইলচেয়ারে করে বার করা হয় পার্থকে। তার পর নিজেই হুইলচেয়ার থেকে উঠে গাড়িতে বসেন মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য আদালতের নির্দেশে সোমবার সকালে পার্থকে ভুবনেশ্বর এমসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর হাসপাতালের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, পার্থের শরীরে পুরনো কিছু সমস্য রয়েছে বটে, তবে তা মারাত্মক কিছু নয়। ওই অসুস্থতার জন্য পার্থকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হবে না। সোমবার সন্ধ্যা নাগাদই যে মন্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হবে, তা-ও জানিয়ে দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার কিছু পরেই কলকাতায় ইডির বিশেষ আদালতে মামলার শুনানি শুরু হয়। ওই শুনানিতে পার্থকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে কোর্টে হাজির করানোর ব্যবস্থা করে ইডি।বিচারক তাঁকে ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’র মামলায় গত শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ পার্থর নাকতলার বাড়িতে হানা দেয় ইডির দল। সেই সময় থেকে টানা প্রায় ২৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মন্ত্রীকে। পরের দিন অর্থাৎ শনিবার গ্রেফতারের পর সকাল ১০টা নাগাদ তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যান ইডির আধিকারিকরা। পরে আদালতে পেশ করা হয় পার্থকে। প্রথমে তিন দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় পার্থকে। শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে এসএসকেএম হাসপাতালে পার্থকে ভর্তি করানোর জন্য আদালতে আবেদন জানান মন্ত্রীর আইনজীবী। ইডির ‘আপত্তি’ সত্ত্বেও ওই আবেদন মঞ্জুর করা হয়। শনিবার সন্ধ্যার পরে এসএসকেএমে ভর্তি করানো হয় পার্থকে।
নিম্ন আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। রবিবার সেই মামলার শুনানিতে পার্থকে ভুবনেশ্বর এমসে নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেয় আদালত। সেই মতো সোমবার সকালে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে ভুবনেশ্বর নিয়ে যাওয়া হয়। স্বাস্থ্যপরীক্ষার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে, হাসপাতালে ভর্তি করানোর মতো অসুস্থ নন পার্থ। তার পরই মঙ্গলবার সকালে তাঁকে কলকাতায় ফেরানো হল।