চন্দন প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের আইনজীবীর দাবি, চন্দন পুরো দুর্নীতিকাণ্ডের এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। ফাইল চিত্র ।
চন্দন মণ্ডল যদি নিয়োগ দুর্নীতিতে ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত, তা হলে কেন তাঁকে গ্রেফতার করতে ৯ মাস সময় লাগল? সিবিআই আইনজীবীকে প্রশ্ন আলিপুরের দেওয়ানি এবং দায়রা আদালতের বিচারকের। বিচারক রানা দামের প্রশ্ন, চন্দন এত গুরুত্বপূর্ণ হলে কেন তাঁর জন্য শুধু জেল হেফাজত চাওয়া হচ্ছে? কেন পুলিশ হেফাজত চাওয়া হচ্ছে না? পাশাপাশি, চন্দন যে সব ধরনের প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন, তার উল্লেখও চার্জশিটে নেই বলে বিচারকের পর্যবেক্ষণ।
মঙ্গলবার চন্দন এবং আর এক অভিযুক্ত সুব্রত সামন্ত রায়কে সিবিআই হেফাজত থেকে আদালতে তোলা হয়েছিল। সেখানেই চন্দন প্রসঙ্গে সিবিআই আইনজীবীর কাছে এই প্রশ্নগুলি রাখেন বিচারক।
সিবিআই আইনজীবী দফায় দফায় তদন্তের কথা বললে সিবিআই আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারক বলেন, ‘‘আপনারা বলছেন দফায় দফায় তদন্ত করা হচ্ছে। এতে প্রমাণ নষ্ট হতে পারে। হঠাৎ আপনারা জেগে উঠলেন? আপনাদের ৯ মাস সময় লাগল অভিযুক্তের ভূমিকা বুঝতে?’’
চন্দন প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের আইনজীবীর দাবি, চন্দন পুরো দুর্নীতিকাণ্ডের এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তিনি বলেন, ‘‘এটা একটা বড় ষড়যন্ত্র। তদন্ত করে দেখতে হবে, চন্দন কী সুবিধা পেয়েছেন এবং পুরো দুর্নীতিতে কী ভূমিকা পালন করেছেন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পর সেই টাকা আবার অন্যান্য অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। টাকা কী জন্য কার থেকে নেওয়া হয়েছে এবং কাকে দেওয়া হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখতে হবে। এই সব দুর্নীতির ক্ষেত্রে দেখা যায়, এক জন টাকা সংগ্রহ করে অন্যকে পাঠিয়ে দেয়।’’ গ্রেফতারির আগে চন্দন অন্যদের প্রভাবিত করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।
অন্য দিকে, চন্দনের আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আদালতে চন্দনের জামিনের আবেদন করা হয়েছে। তাঁর দাবি, চন্দনের নাম কোথাও নেই। তবুও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দিব্যেন্দু বলেন, ‘‘মামলা শুরু হওয়ার পর অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন। ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু ওঁর কি সরকারি চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে?’’ চন্দনকে ‘পরিস্থিতির শিকার’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।