আদালত থেকে জেলের পথে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
ধূসর পাঞ্জাবি। সাদা পাজামা। মুখে মাস্ক। চোখে চশমা। নগর দায়রা আদালত থেকে অত্যন্ত ধীর পায়ে এগোচ্ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দু’পাশে তাঁর দু’হাত ধরে আদালতের সিঁড়ি থেকে নামিয়ে আনা হচ্ছিল। গন্তব্য প্রেসিডেন্সি জেল। কিন্তু প্রিজন ভ্যানে ওঠানো গেল না পার্থকে!
১১০ কেজি ওজনের প্রাক্তন মন্ত্রীকে প্রিজন ভ্যানে ওঠাতে প্রথমে আনা হয় একটি কাঠের টুল। কিন্তু সেই টুলের উচ্চতা বেশি ছিল। তার পর সেটি নড়বড়ে কিনা তা নিয়েও আলোচনা হয়। প্রিজন ভ্যানের বাইরে তখন ভিড় জমে উঠেছে। সেই ভিড়ের মধ্যে থেকে কেউ ছুটে গিয়ে নিয়ে এলেন একটি ঠান্ডা পানীয় রাখার ক্রেট। বেশ কিছু ক্ষণের চেষ্টায় সেটায় পা দিয়েই প্রিজন ভ্যানের ভিতরে ঢুকতে হয় পার্থকে।
শিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগের মামলায় কলকাতায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর বিশেষ আদালতে শুক্রবার হাজির করানো হয় ধৃত পার্থ ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। শুক্রবার শুনানি চলাকালীন অর্পিতার আইনজীবী তাঁর মক্কেলের জন্য জামিনের আবেদন করেননি। তবে পার্থের জামিনের আবেদন জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী কৃষ্ণচন্দ্র দাস। ইডির তরফে সওয়াল করেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি এবং ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর পার্থকে শুক্রবার ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে ইডির বিশেষ আদালত। রাত ৮টা নাগাদ প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে।