চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র দিতে নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। ফাইল চিত্র।
যোগ্য ও নম্বর বেশি থাকা সত্ত্বেও চাকরি পাননি! ব্যাপারটি নজরে আসার পরই পুজোর আগেই এক চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র দিতে এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন)-কে বললেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রিয়ঙ্কা সাউ নামে এক ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীকে পুজোর আগে চাকরি দিতে এসএসসিকে বলল আদালত।
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, শুক্রবার বিকেল ৫টায় প্রিয়ঙ্কা ও তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে বৈঠক করতে হবে এসএসসিকে। চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বা চাকরি দেওয়া হল কি না, তা আগামী বৃহস্পতিবার আদালতকে জানাতে হবে। আদালত কক্ষে এসএসসির তরফে বলা হয় যে, ওই প্রার্থীকে মহিলা বিভাগে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। সেই পর্বে বাদ যান প্রিয়ঙ্কা। যোগ্য ও বেশি নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও কেন চাকরি হয়নি, এই অভিযোগ জানিয়ে সরব হয়েছেন একাধিক চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের অভিযোগও শোনা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে আদালত।
অতীতে, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা নিয়ম ভেঙে চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন শিলিগুড়ির ববিতা সরকার। এই অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। এর পর এই মামলা গড়ায় আদালতে। মন্ত্রীকন্যার চাকরি খারিজ করার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। এমনকি, চাকরিসূত্রে যে বেতন গ্রহণ করেছেন অঙ্কিতা, তা ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। অঙ্কিতার সেই চাকরি ও বেতন পেয়েছেন ‘বঞ্চিত’ ববিতা।
প্রসঙ্গত, এসএসসি-র পাশাপাশি টেটেও (প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা) নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। একাধিক টেট পরীক্ষার্থীকেও পুজোর আগে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে ১৮৫ জনকে চাকরির সুপারিশপত্র দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ১৯ সেপ্টেম্বর ওই প্রার্থীদের নথি যাচাই করা হয়। । সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের ২৬ সেপ্টেম্বর নথি নিয়ে যোগাযোগ করতে হবে জেলা প্রাথমিক স্কুল পর্ষদ বা প্রাথমিক স্কুল পর্ষদের সঙ্গে।