ফাইল চিত্র।
গত তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ‘বেসুরো’ রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। তৃণমূল সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে কলকাতায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে কৃষ্ণর। তৃণমূলের অন্দরের খবর, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্মতি দিলে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব কৃষ্ণকে ভবানীপুরের উপ নির্বাচনের আগের দিন, অর্থাৎ কাল, বুধবার বা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর আগামী ৫ অক্টোবর কলকাতায় আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে ফেরাতে পারেন।
উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের এক নেতা তথা বিধায়ক বলেন, “দিদির সম্মতি নিয়েই কৃষ্ণবাবু-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বিজেপি নেতা ও বিধায়কদের একাংশকে তৃণমূলে যোগদান করানো হবে। এক্ষেত্রে কৃষ্ণবাবুকে দলে ফেরানোর দিনক্ষণ পিছোতেও পারে।” প্রসঙ্গত, রবিবার কলকাতা থেকে রায়গঞ্জে ফিরেছেন কৃষ্ণ। সোমবার রায়গঞ্জের হাসপাতাল মোড় এলাকায় পথচারীদের হাতে রুটি ও তরকারি তুলে দেন। ওই কর্মসূচিতে বিজেপির কোনও নেতা-কর্মীকে দেখা যায়নি। কলকাতায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি অবশ্য এদিন কৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন কৃষ্ণ। তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে অনেকেরই বৈঠক হয়েছে। আমি তৃণমূলে ফিরলে সবাই দেখতে পারবেন।” জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের অবশ্য বক্তব্য, “কৃষ্ণবাবু কবে তৃণমূলে ফিরবেন, তা জানি না।”
প্রসঙ্গত, রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী ও বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, তুঘলকি আচরণ, ষড়যন্ত্র ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে গত ৫ সেপ্টেম্বর জেলায় দলের সমস্ত কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়ান কৃষ্ণ। এরপর বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগদান ও সুকান্ত মজুমদারকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে বসানোকে কেন্দ্র করে দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়ান কৃষ্ণ। গত বুধবার তিনি কলকাতায় যান। এরপর শুক্রবার সুপার মার্কেট এলাকার কৃষ্ণর দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিজেপির বোর্ড খুলে দেওয়া হয়। ওই বোর্ডে দেবশ্রীর ছবি ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কৃষ্ণরও ছবি ছিল। দেবশ্রী ও বাসুদেব অবশ্য এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।