ফাইল চিত্র।
রবিবার সকালে ছিল আব্বাস সিদ্দিকি-আসাউদ্দিন ওয়েইসির বৈঠক। রাতে বৈঠক হল হল ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের।
একই দিনে ফুরফুরা শরিফের দুই পিরজাদার সঙ্গে দুই দলের নেতাদের বৈঠককে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি জানিয়ে দিয়েছেন, আব্বাসের সঙ্গে জোট বেঁধেই এ রাজ্যে তাঁরা আগামী বিধানসভা ভোটে লড়াই করবেন। রবিবার রাতে বন্ধ ঘরে ত্বহা এবং মন্ত্রী মলয়বাবুর বৈঠক চলে প্রায় এক ঘণ্টা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কী বিষয়ে কথা হয়েছে, তা সামনে আসেনি।
বৈঠক নিয়ে ত্বহা সিদ্দিকি কোনও বিশেষ কিছু বলতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, ‘‘আমার বাড়ির পাশের একটি ক্লাবে দিনরাতের ফুটবল প্রতিযোগিতা ছিল। সেখানে মলয়বাবু নিমন্ত্রিত ছিলেন। বাড়ি ফেরার পথে আমার সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন। সৌজন্য-সাক্ষাৎ।’’ মলয়বাবু ফোন ধরেননি। এ নিয়ে আব্বাস সিদ্দিকি বলেন, ‘‘ওঁর ওখানে তৃণমূলের লোকজন অনেকদিন ধরেই আসছেন। ফুরফুরা শরিফ একটি তীর্থস্থান। যে কেউ আসতে পারে। এ বিষয়ে
কিছু বলার নেই।’’
এমআইএম ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় রাজ্যে মুসলিম ভোট ভাগ হওয়ার আশঙ্কা করছে তৃণমূল। এ ভাবে এমআইএম বিজেপিকে সুবিধা করে দিচ্ছে, এ অভিযোগও শোনা যাচ্ছে। ত্বহা প্রথম থেকেই আব্বাসের নতুন দল গড়ে ভোটে লড়া নিয়ে সমালোচনা করছেন। তৃণমূলের পক্ষেই তাঁকে সওয়াল করতে শোনা যাচ্ছে। এই অবস্থায় ত্বহার সঙ্গে শ্রমমন্ত্রীর বৈঠক তাই জল্পনা বাড়িয়েছে।