দুর্গাপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাাধ্যায়। ছবি: বিকাশ মশান
এ বার কি প্রশাসনের উপরে পুলিশের নজরদারি? বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকের পরে এই প্রশ্ন আধিকারিক মহলে জল্পনার জন্ম দিয়েছে। জোর গুঞ্জন চলছে ডব্লিউবিসিএস মহলে।
এ দিন পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠকে সব জেলাশাসককে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিতে বলা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে অভিযোগ করেন, বিডিও-দের অনেকে ঠিকমতো অফিসে যান না। পুলিশের উদ্দেশে তাঁর নির্দেশ, “এ ক্ষেত্রে আইসি-দের বলব, সার্ভে...মাঝেমধ্যে রিভিউ করা হোক। কিছুই না, রিপোর্টটা ডিএম-কে দিয়ে দেবেন। ডিএম-দেরও উচিত মাঝেমধ্যে রিভিউ করা। অনেক সময় তাঁদের (বিডিও) ফিল্ড-এও কাজ থাকে। আর একটা কাজ বিডিও-দের করা উচিত বলে মনে করি। মাঝেমধ্যে পঞ্চায়েতেও সারপ্রাইজ় ভিজ়িট দিলেন। সঙ্গে ওসি-দেরও নেবেন। বিডিও এবং আইসি-ওসি একসঙ্গে গেলে কাজটা ভাল হয়। বিডিও-র নিরাপত্তার ব্যাপারও আছে।”
অভিজ্ঞ আমলাদের অভিযোগ, এই নির্দেশ অসম্মানজনক। সকলে এমন করেন, তা নয়। ডব্লিউবিসিএস এগ্জ়িকিউটিভদের চাকরির শুরু হয় বিডিও হিসেবে। পুলিশে বিডিও-দের সমতুল পদ ডিএসপি বা এসডিপিও। পদমর্যাদা, প্রশাসনিক রীতি অনুযায়ী বিডিও-দের উপরে নজরদারির অধিকার এসডিও, এডিএম বা জেলাশাসকের থাকতে পারে। এক অফিসারের কথায়, “এই পদক্ষেপ ঠিক নয়। বিডিও-দের কাজ দেখার অনেক লোক আছেন। আর বিডিও-কে যদি পুলিশের সুরক্ষা নিয়ে কাজকর্ম করতে হয়, তা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ওইপদে থাকার যোগ্যতাই নেই বলে ধরে নিতে হবে।”
এ দিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, পশুপালক, মৎস্যজীবী, কৃষকেরা দুপুরে অফিসে যেতে পারেন না। “বিডিও-দের অনুরোধ করব, আপনারা অন্তত সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অফিসে থাকুন। সন্ধ্যায় যাঁরা আসেন, তাঁরা যাতে আপনার দেখা পান। পুলিশ ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করে। অনেক বিডিও...উত্তরবঙ্গ থেকে রিপোর্টটা আমার কাছে এসেছে, তাঁরা অফিসে বসেনই না, বিডিও-রা ঠিকমতো অফিসে যানই না,” বলেন মুখ্যমন্ত্রী।