Anubrata Mondal

আর কত দিন সভাপতি কেষ্ট, চর্চা শুরু দলে

সেই অগস্ট মাস থেকে অনুব্রত জেলায় নেই। আসানসোল জেলে থাকাকালীন তা-ও আদালত চত্বরে উপস্থিতি নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দিচ্ছিলেন জেলা সভাপতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৩ ০৭:৪২
Share:

জোকা ইএসআই হাসপাতালে অনুব্রত। মঙ্গলবার। ফাইল চিত্র

সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে মঙ্গলবার রাতে দিল্লি নিয়ে গিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পঞ্চায়েত ভোটের আগে অনুব্রত জেলায় ফিরতে পারবেন না বলেই ধরে নিয়েছেন দলের নেতা-কর্মীরা। এই অবস্থায় বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদে আর কত দিন কেষ্টকে রেখে দেওয়া হবে, তা নিয়ে দলের অন্দরে যেমন চর্চা শুরু হয়েছে, তেমনই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরাও।

Advertisement

অনেক কর্মীর মতে, সেই অগস্ট মাস থেকে অনুব্রত জেলায় নেই। আসানসোল জেলে থাকাকালীন তা-ও আদালত চত্বরে উপস্থিতি নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দিচ্ছিলেন জেলা সভাপতি। কিন্তু, এ বার দিল্লি চলে যাওয়ার পরে অনুব্রতের সঙ্গে জেলা তৃণমূলের সেই ‘সংযোগ’ও থাকবে না। দলের একটা অংশের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বীরভূমের সংগঠন দেখবেন বলে জানিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু, রাজনৈতিক ভাবে এ রকম গুরুত্বপূর্ণ একটি জেলায় পূর্ণ সময়ের সভাপতি না-থাকলে তা আখেরে দলের সংগঠনের পক্ষেই ক্ষতিকর।

জানুয়ারি মাসে জেলা সফরে এসে অনুব্রতের অনুপস্থিতিতে তৈরি হওয়া কোর কমিটির সদস্য সংখ্যা চার থেকে বাড়িয়ে সাত জন করেন মমতা। নতুন সদস্য হিসাবে কমিটিতে জায়গা পান দুই সাংসদ শতাব্দী রায় ও অসিত মাল এবং জেলার রাজনীতিতে অনুব্রত-বিরোধী বলে পরিচিত নানুর ব্লকের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ।

Advertisement

তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলনেত্রী নিজে এসে বলেছেন বীরভূম তিনি দেখবেন, এবং সাত জনের একটি কোর কমিটিও তিনি তৈরি করে দিয়েছেন। তাই এই কোর কমিটিই এখন জেলা চালাবে।’’

কিন্তু, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এ ভাবে কোর কমিটি দিয়ে দল চালানোয় প্রশ্ন তুলছেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক কর্মীর কথায়, ‘‘কেষ্টদা যে-ভাবে সংগঠন করতেন বা দল চালাতেন, তার কোনও বিকল্প পাওয়া যাবে না এটা ঠিক। তবে, এ ভাবে দীর্ঘদিন জেলা সভাপতি পদে কেউ না থাকায় দলের সাংগঠনিক ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষ করে বিজেপি-সহ বিরোধীরা যেখানে জেলায় রাজনৈতিক কর্মসূচি বহুগুণ বাড়িয়েছে।”

অনুব্রতকে এখনও পদে রেখে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরাও। বিজেপি-র বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, “তৃণমূলে সবই সম্ভব। যাঁরা যত বেশি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাঁরাই পদে বহাল রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে ওঁকে (অনুব্রত) দিল্লি নিয়ে চলে যাওয়া হয়েছে। তবু তাঁর পদ রয়ে যাচ্ছে।’’ অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ায় বুধবার জেলার কোথাও কোথাও ঢাক বাজিয়ে কিংবা আবির উড়িয়ে উল্লাস করতে দেখা গিয়েছে বিজেপি কর্মীদের। কোথাও আবার গুড়-বাতাসা বিলি করেছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement