Jogesh Chandra Chaudhuri College

যোগেশচন্দ্র কলেজেও ‘থ্রেট কালচার’, চর্চা

দক্ষিণ কলকাতার যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়ের অভিযোগ, এই কলেজে বহিরাগত এবং অনেক আগে পাশ করা পড়ুয়াদের একাংশ দিনের পর দিন ‘থ্রেট কালচার’ চালাচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৩১
Share:

যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজ। —ফাইল ছবি।

রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে যখন আলোচনা, প্রতিবাদে সরব চিকিৎসক মহল, তখন রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রেও ‘থ্রেট কালচার’ অর্থাৎ হুমকি সংস্কৃতির অভিযোগ উঠছে। সেই অভিযোগ রাজ্যের শাসক দলের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) বিরুদ্ধে।

Advertisement

দক্ষিণ কলকাতার যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়ের অভিযোগ, এই কলেজে বহিরাগত এবং অনেক আগে পাশ করা পড়ুয়াদের একাংশ দিনের পর দিন ‘থ্রেট কালচার’ চালাচ্ছে। র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠলেও ব্যবস্থা নিতে গেলে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। অভিযোগ, কলেজ ক্যাম্পাসে এরা কলেজের সিসি ক্যামেরার তার কেটে দিচ্ছে। কখনও সিসি ক্যামেরার ওপর দলীয় পতাকা লাগিয়ে দিয়ে কলেজের নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাচ্ছে।

অধ্যক্ষ শুক্রবার জানান, ১৮ সেপ্টেম্বর ইউজিসির তরফ থেকে কলেজে একটি র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ পাঠানো হয়। কলেজের কয়েক জন পড়ুয়া ইউজিসির কাছে অভিযোগ করেন, হুমকি দিয়ে কলেজ থেকে ২৮ অগস্ট টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে যেতে বাধ্য করা হয়। না গেলে হুমকির মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার কলেজের অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটি আলোচনায় বসলে বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে জমায়েত করেন। অধ্যক্ষ বলেন, “যাতে অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটি কোনও সিদ্ধান্তে আসতে না পারে, তাই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছিল।” বৃহস্পতিবার তিনি ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা চেয়ে লালবাজার এবং স্থানীয় থানায় জানান। দুই প্রাক্তন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে এফআইআরও করা হয়েছে। এ দিন কলেজে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

Advertisement

অভিযোগ, কলেজে বহিরাগতদের জন্মদিন সাড়ম্বরে পালন করা হয়। পরীক্ষা চলাকালীন বারণ করার পরেও নবীন বরণের অনুষ্ঠান করা হয়েছে। পঙ্কজের আরও অভিযোগ, এক অভিভাবক ক্যাম্পাসে তাঁর ছেলের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ করতে এসে এই বহিরাগতদের হুমকির মুখে পড়ে ছেলেকে এই কলেজে ভর্তি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিষয়টি তিনি ফোন করে এবং লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। সমাজ মাধ্যমেও সেই অভিজ্ঞতার কথা ওই অভিভাবক লিখেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement