বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়।—ফাইল চিত্র।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি হলেও এখনও পশ্চিমবঙ্গে দলের কোনও দায়িত্ব পাননি মুকুল রায়। সাধারণত বিজেপির সর্বভারতীয় নেতারা নিজের রাজ্যে দায়িত্ব পান না। সে ক্ষেত্রে মুকুলবাবু কি রাজ্য বিজেপিতে কাজের সুযোগ পাবেন না? রাজ্য রাজনীতিতে এটাই এখন নয়া চর্চা। বিজেপির একটি সূত্রের অবশ্য খবর, মুকুলবাবুকে এ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কাজে লাগানোর কথা মাথায় রেখেই তাঁকে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদ দেওয়া হয়েছে। কারণ, এ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে জিততে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং মুকুলবাবুর ‘সমন্বয়ে’ ভরসা রাখতে চাইছেন।
বিজেপির একটি সূত্রের মতে, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে আরএসএসের প্রাক্তন প্রচারক দিলীপবাবুর সাংগঠনিক ‘দক্ষতা’, মতাদর্শের ‘দৃঢ়তা’, কর্মীদের চাঙ্গা করার ‘ক্ষমতা’ গুরুত্বপূর্ণ। আবার ‘ভোটকুশলী’ হিসেবে পরিচিত মুকুলবাবুকেও এ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে তাঁদের কাজে লাগানো প্রয়োজন। ফলে বিধানসভা ভোট পরিচালনার দায়িত্ব থেকে দিলীপবাবু এবং মুকুলবাবু—দু’জনের কাউকেই দূরে রাখার কথা এখনও পর্যন্ত দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভাবছেন না বলেই বিজেপি সূত্রের খবর।
তা ছাড়া, মুকুলবাবুর সরকারি ঠিকানা এখন দিল্লি। সেখানকার ভোটার তালিকাতেই তাঁর নাম রয়েছে। সে দিক থেকে সরকারি ভাবে মুকুলবাবু এখন দিল্লির বাসিন্দা। তাই বিজেপির সর্বভারতীয় কোনও নেতাকে নিজের রাজ্যে দায়িত্ব না দেওয়ার সাংগঠনিক রীতিতেও মুকুলবাবুর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের দায়িত্ব পাওয়া আটকায় না বলে দলের একাংশের ব্যাখ্যা। মুকুলবাবু অবশ্য সোমবার ফের বলেন, ‘‘বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি হলেও এখনও নির্দিষ্ট দায়িত্ব পাইনি। দল যেখানে যা দায়িত্ব দেবে, পালন করব।’’
আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরু জঙ্গিদের স্বর্গ, তেজস্বীর কথায় বিতর্ক
আরও পড়ুন: জলসা, কার্নিভাল, আড়ম্বর নিষেধ, পুজো নির্দেশিকা ঘোষণা নবান্নের