ফাইল চিত্র।
বিনয় তামাং, অনীত থাপাদের সঙ্গে কবে বৈঠক হবে শাসক শিবিরের? দু’দিন আগের বার্তাতেও ইঙ্গিত ছিল, আগামী মঙ্গলবার দু’পক্ষ কলকাতায় বসবেন। কিন্তু শনিবার হঠাৎ এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে উভয় শিবিরই। কলকাতায় প্রশাসন সূত্রে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার বৈঠক নিয়ে এখনও স্পষ্ট কোনও বার্তা নেই। পাহাড় সূত্রে বলা হয়েছে, আলোচনা হবে কিনা, তা সোমবারের মধ্যে স্পষ্ট হবে। এই অবস্থায় রবিবার দার্জিলিং পৌঁছচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
বিমল গুরুং আত্মপ্রকাশ করে তৃণমূলকে সমর্থনের কথা জানানোর পর থেকে পাহাড়ে পরপর মিছিল করছেন বিনয়পন্থীরা। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের পরে শনিবার কার্শিয়াং এবং মিরিকে মিছিল করলেন তাঁরা। পাহাড় সূত্রে খবর, সেই মিছিল থেকেও গুরুং-বিরোধী স্লোগান উঠেছে। সেই সঙ্গে পাহাড়ের আন্দোলনে মারা যাওয়া ১৩ জনের কথা বলে গুরুংয়ের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বারবার বলা হয়েছে, গুরুং মানেই অশান্তি ও খুনখারাপি। পাশাপাশি পাহাড়ে শান্তি বজায় রেখে বিনয়, অনীতকে উন্নয়ন ও নতুন চিন্তাধারার নেতা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
পাহাড়ের পর্যবেক্ষকদের মতে, এই মিছিলগুলি বিনয়, অনীতদের শক্তি প্রদর্শন। এর পরে কোনও রকম ক্ষমতার ভাগাভাগিতে গেলে তাঁরা যাতে দর কষাকষি করতে পারেন, এটা তারই প্রস্তাবনা। তৃণমূল সূত্রে খবর, বিনয়পন্থীদের পরপর মিছিলে শাসক শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব কিছুটা অখুশি। অন্য দিকে, গুরুং শিবিরও পাহাড়ে গ্রুপ বৈঠক, পোস্টার সাঁটানো, পতাকা তুলে বিমলকে পাহাড়ে আসার আবেদন জানিয়ে প্রচার চালাচ্ছে।
প্রশাসন এবং তৃণমূল সূত্রে বলা হচ্ছে, জিটিএ এবং মোর্চার যাবতীয় রাশ যদি বিনয় শিবিরের হাতে যায়, তা হলে বিমল গুরুংয়ের জন্য কী রইল? দুই পক্ষের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করাটাও এখন শাসক শিবিরের কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ।