বিজেপির দফতরে শোভন-বৈশাখী-দিলীপ। ছবি: ভিডিয়ো গ্র্যাব।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির হাত থেকে সম্বর্ধনা নেওয়ার সময়ও ছেড়ে আসা তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূলে অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতিতে ছিলাম। আট মাস তাই দলের কোনও কর্মসূচিতে ছিলাম না।’’
এ দিনই প্রথম রাজ্য বিজেপির দফতরে পা রাখেন শোভন-বৈশাখী। দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে সেখানে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় তাঁদের। তার জন্য দিলীপ ঘোষেরও প্রশংসা করেন শোভন। তিনি জানান, ‘‘আমার কাছে দিলীপ ঘোষের ফোন নম্বর ছিল না। বৈশাখীর মাধ্যমেই তাঁর সঙ্গে আলাপ আমার। দিলীপ আন্তরিকতা দেখিয়েছিলেন।’’
পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তৃণমূলের আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন শোভন। এ দিনও নতুন করে তাদের এক হাত নেন তিনি। শোভন বলেন, ‘‘বাম জমানার চেয়েও এখন অনেক বেশি সন্ত্রাস। তৃণমূল এখন অনেক বদলে গিয়েছে। জীবন বিপন্ন করে রাজনীতি করতে হচ্ছে বিরোধীদের। বাংলাকে সন্ত্রাসমুক্ত করার সময় এসেছে।’’
বিজেপি তথা আরএসএস-এর ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ নীতি নিয়ে প্রশ্ন করলে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিক্ষিত জনমানসে বিজেপি সম্পর্কে যে বিভ্রান্তি রয়েছে, তা দূর হওয়া উচিত। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময় এমন কিছুই বলা হয়নি আমাকে। আর আমি বিজেপিতে যোগ দিয়েছি, আরএসএস-এ নয়।’’
এ দিন শোভন বলেন—
• নারদ কাণ্ডে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা সত্য নয়।
• মানুষ সঠিক ভাবে ভোট দিতে পারলে আজ পরিস্থিতি অন্যরকম হত।
• দিলীপ ঘোষের ফোন নম্বর ছিল না আমার কাছে। বৈশাখীর মাধ্যমে আলাপ।
• তৃণমূলের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়ব আমরা।
• বৈশাখী আমার বিপদের বন্ধু। আমরা একে পরস্পরের পরিপূরক।
• দল আমাকে যে ভাবে চালনা করবে চলব। আগে এক জন ভাল কর্মী হতে চাই।
• রাজ্যে কঠিন পরিস্থিতিতে লড়তে হচ্ছে বিজেপিকে।
• বিরোধীদের উপর এমন সংগঠিত সন্ত্রাস আগে দেখিনি।
• তৃণমূল এখন ঠিকাদারের ভূমিকা পালন করছে।
• তৃণমূলকে পরিত্রাতা হিসাবে দেখেছিলেন সাধারণ মানুষ।
• সেই তৃণমূল এখন অনেক বদলে গিয়েছে।
• বাংলাকে সন্ত্রাসমুক্ত করার সময় এসেছে।
• বাম জমানার থেকেও এখন বেশি সন্ত্রাস হচ্ছে বাংলায়।