Primary Teacher Recruitment Case

সুপ্রিম কোর্টে জামিন হল মানিক-পুত্র শৌভিকের, গ্রেফতার হন প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন মানিক ভট্টাচার্যের পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্য। শুক্রবার বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি পঙ্কজ মিথলের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:৩৫
Share:

—ফাইল চিত্র।

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন ধৃত তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্য। শুক্রবার মানিক-পুত্রকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি পঙ্কজ মিথলের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছর অগস্টেই জামিন পেয়েছিলেন মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য। তাঁকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। এর পরেই নভেম্বরে জামিনের আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন শৌভিক। তার প্রায় তিন মাস পর জামিন পেলেন তিনি।

গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মানিকের স্ত্রী শতরূপা এবং পুত্র শৌভিক আত্মসমর্পণ করেছিলেন। দু’জনেরই জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এর পর অগস্ট মাসে শতরূপাকে জামিন দেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, ‘‘মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীকে আর হেফাজতে রাখার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে না আদালত।’’ তবে জামিন পেলেও শর্ত মেনে চলতে হবে শতরূপাকে। এক লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন পেয়েছিলেন তিনি। আদালতের নির্দেশ ছিল, শতরূপা রাজ্যের বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না। এ ছাড়াও তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে ইডির কাছে। শতরূপা জামিন পাওয়ার পরেই হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন শৌভিক। বিচারপতি ঘোষের বেঞ্চেই মামলা উঠেছিল। কিন্তু খারিজ হয়ে গিয়েছিল শৌভিকের জামিনের আবেদন। এ বার সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর ইডির হাতে গ্রেফতার হন। তার পর থেকেই তাঁর ঠাঁই প্রেসিডেন্সি জেলে। তার কিছু দিনের মধ্যেই আত্মসমর্পণ করেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রী ও পুত্র। ইডির অভিযোগ ছিল, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ঘুরপথে তাঁদের অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে। শতরূপা ও শৌভিকের নামে বহু স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি আছে, যা নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় কেন বলে দাবি করেছিল ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থা আদালতে দাবি করেছিল, মানিকের পুত্রের একটি পরামর্শদাতা সংস্থা ছিল। তদন্তকারীদের দাবি, বেসরকারি বিএড কলেজগুলি থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ওই সংস্থা ২ কোটির বেশি টাকা তোলে। অভিযোগ, এর বিনিময়ে কোনও পরিষেবা দেওয়া হয়নি কলেজগুলিকে। তার পর সেই টাকাও ফেরতও দেওয়া হয়নি। মানিকের গ্রেফতারির পর ইডি যে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিয়েছিল, তাতে স্ত্রী ও পুত্রেরও নাম ছিল।

(এই খবরটি সবেমাত্র দেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত খবরটি কিছু ক্ষণের মধ্যেই আসছে। অপেক্ষা করুন। পাতাটি কিছু ক্ষণ পর পর রিফ্রেশ করুন। আপডেটেড খবরটি আপনি দেখতে পাবেন। অতি দ্রুততার সঙ্গে আপনার কাছে খবর পৌঁছে দেওয়ার সময়েও আমরা খবরের সত্যাসত্য সম্পর্কে সচেতন। সেই জন্যই যে কোনও ‘খবর’ পাওয়ার পর, তার সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই আমরা তা প্রকাশ করি। ফেক নিউজ বা ভুয়ো খবরের রমরমার সময়ে এটা আরও বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement