প্রতীকী ছবি
ব্যারাকপুর-বারাসত রোডের উপরে মোহনপুর এলাকায় যে-বিরিয়ানির দোকানে গুলি চালানো হয়েছিল, তার কাছাকাছিই ছিল সে। মোবাইল ফোনের সৌজন্যে ওই গুলি চালানোর ঘটনায় বুধবার বিকেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃত যুবকের নাম অভিষেক ঝা। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রের খবর, ঘটনার দু’দিন পরেও ওই অভিযুক্ত যুবক অকুস্থলের অদূরেই ছিল।
সোমবার দুপুরে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ও ব্যারাকপুর-বারাসত রোডের মোড়ের কাছে ওই বিরিয়ানির দোকানের সামনে রাস্তায় মোটরবাইক দাঁড় করিয়ে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। কাউন্টারে তখন ভিড় ছিল। প্রদীপ সিংহ নামে এক কর্মচারী এবং রাজেশ মণ্ডল নামে এক জন ক্রেতার গায়ে গুলি লাগে। জনতা ধাওয়া করে যাতে ধরতে না-পারে, তাই পালানোর সময়েও এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা।
হামলার এক দিন আগেই বন্দুকের ডিপি দেওয়া একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে ওই বিরিয়ানির দোকানের মালিকের মোবাইলে অশ্লীল মন্তব্য ও হুমকি মেসেজ আসে বলে অভিযোগ। তদন্তকারীরা জানান, পুলিশ ওই মোবাইলের কললিস্ট ও মেসেজ পরীক্ষা করার পরেই অভিষেকের খোঁজ মেলে। গুলি চালানোর ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তিন জনকে একটি বাইকে দেখা গিয়েছে। তবে হামলার আগে ‘রেকি’ করা হয়েছিল অর্থাৎ দুষ্কৃতীরা জায়গাটা ঘুরে দেখে গিয়েছিল এবং এতে আরও কেউ কেউ জড়িত বলে পুলিশের অনুমান।
দিনেদুপুরে ব্যারাকপুরে এ ভাবে গুলি চালানোর ঘটনায় নাগরিক নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও এখানে-ওখানে গুলি-হামলা চলছেই। বিশেষ করে সোদপুরে কাউন্সিলর হত্যার পরে এই ঘটনায় ভয় পাচ্ছেন ব্যারাকপুর এলাকার বাসিন্দারা।
অভিষেক গ্রেফতারের আগে এ দিন বিকেলে মোহনপুর থানায় মামলার অগ্রগতি জানতে গিয়েছিলেন ওই বিরিয়ানির দোকানের মালিক বাপি দাসের স্ত্রী ডলি দাস। তিনি বলেন, ‘‘আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি। যারা এই ঘটনা ঘটাল, তারা সকলে ধরা না-পড়া পর্যন্ত দোকান চালাতে ভয় পাচ্ছি।’’ অভিষেক গ্রেফতারের পরে পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, ‘‘এই গুলি চালানোর ঘটনায় যারা জড়িত, সকলেই ধরা পড়বে। জাল গোটানো শুরু হয়ে গিয়েছে।’’