সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
রাজ্য বিজেপিতে সাংগঠনিক রদবদলের সঙ্গে সঙ্গে তাদের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে। যাতে আবার সামনে আসছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। দলের একাংশের মতে, রাজ্য বিজেপির কোঁদল এড়াতেও এটা হতে পারে ‘উপযুক্ত দাওয়াই’।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে সৌরভকে তুলে ধরা হতে পারে বলে বিজেপি মহলে আগেই জল্পনা ছিল। সৌরভ বা বিজেপি নেতৃত্ব কেউই অবশ্য এ নিয়ে এখনও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। তবে সৌরভের সঙ্গে দিল্লিতে বিজেপির শীর্ষ স্তরের যে যোগাযোগ রয়েছে, বিভিন্ন সূত্রে তার ইঙ্গিত মেলে। সম্প্রতি কলকাতায় বিজেপির দুর্গাপুজোয় সৌরভ-পত্নী নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের অনুষ্ঠান করাও তারই অঙ্গ বলে রাজনৈতিক মহলে অনেকের মত। দলের নব নিযুক্ত সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ মহলে বলেই দিয়েছেন, সৌরভ রাজি হলে তিনি সর্বতো ভাবে তা সমর্থন করবেন।
সম্ভাব্য ‘মুখ’ হিসাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় প্রমুখের নামও অনেক দিন ধরেই ঘুরছে। সর্বশেষ তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাংসদ ও রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নামও। দিলীপবাবু নিজে অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর কাছে সংগঠনের দেওয়া দায়িত্বই শেষ কথা। নিজের আগ্রহ বলে কিছু নেই। অন্যেরাও কেউ এ বিষয়ে মৌখিক ভাবে কোনও আগ্রহই প্রকাশ করেননি। অন্য দিকে, রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় আগেই জানিয়ে রেখেছেন, বিধানসভা ভোটের আগে দল কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরবে না।
আরও পড়ুন: মুকুলকে একুশের ভোটে ‘বড়’ কাজে ব্যবহার করতে চায় বিজেপি
তবে রাজ্য বিজেপিতে শিবির বিভাজন যে ভাবে বাড়ছে, তাতে অনেকেরই ধারণা, সৌরভের মতো কোনও ‘আইকন’কে সামনে রাখা গেলে অন্তর্দলীয় বিবাদ ধামাচাপা দেওয়া যাবে। সাধারণ মানুষের কাছেও বিষয়টি অপেক্ষাকৃত বেশি গ্রহণযোগ্য করার সুযোগ থাকবে।
আরও পড়ুন: শাহ-ধনখড় কথায় বাড়ল রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের জল্পনা