প্রতীকী ছবি।
তৃণমূলের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে হাজির হলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। রবিবার দুপুর একটা নাগাদ জংশন বাদল নগর এলাকায় সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে হাজির হন তিনি। সিপিএমের প্রবীণ নেতা তথা আলিপুরদুয়ার জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “আলিপুরদুয়ার জংশনে রেলওয়ে ঠিকাদার লেবার ইউনিয়নের অফিসে দখল করে রেখেছে তৃণমূল। তার পরে দলীয় অফিসে গিয়ে সৌজন্য দেখাচ্ছে। এ সব রাজনৈতিক ভনিতা।’’
সৌরভ এ দিন সটান সিপিএম পার্টি অফিসের ভিতর চলে যান। সিপিএম পার্টি অফিসের ভিতর ডিওয়াইএফআইয়ের জংশন লোকাল কমিটির সভাপতি জয় সেনগুপ্ত উপস্থিত ছিলেন। জয় বলেন, ‘‘বিধায়ক হয়তো সামনের বাজারে ছিলেন, পরে আমাদের কার্যালয়ে আসেন।’’ তাঁরা বিধায়ককে বসতে বলেন এবং চা খাওয়ার কথাও বলা হয়। সৌরভ তাঁদের ‘দিদিকে বলো’ কার্ড দেন। কয়েক মিনিট পরে সেখান থেকে চলে যান। পরে সৌরভ বলেন, “সিপিএমের কার্যালয়ে গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। সৌজন্য বিনিময় করেছি। কোনও অভিযোগ থাকলে ‘দিদিকে বলো’ নম্বরে জানানোর কথা বলেছি। প্রয়াত সিপিএমের নেতা জীবন দত্তের ছবি দেখে কিছু ক্ষণের জন্য দাঁড়িয়ে পড়ি। পরে সেখান থেকে বেড়িয়ে যাই।” সৌরভ জানান, জংশনে রেলওয়ে ঠিকাদার লেবার ইউনিয়নের সকলেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
তবে সিপিএমের কৃষ্ণবাবু বলেন, “ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অন্য দলের কাউকে নমিনেশন জমা দিতে দেয় না। আমাদের দফতরে গিয়ে ‘দিদিকে বলো’ কার্ড দিচ্ছে, এ সব কি!’’ বাম নেতারা জানান, সৌরভবাবু আচমকা চলে আসায় তাঁরা সৌজন্য বশত কিছু বলেননি। কিন্তু কোনও সমস্যায় পড়লে ‘দিদিকে বলো’-তে ফোন করার প্রশ্নই ওঠে না।
বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা জানান, ‘‘সাধারণ মানুষ সব বোঝে। ২০২১ সালে মানুষ যেখানে রায় দেওয়ার দেবেন।’’