টিকিট না পেয়ে দলত্যাগ। — নিজস্ব চিত্র।
টিকিট না পেয়ে একসঙ্গে দল ছাড়লেন তৃণমূলের ১৮ জন পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁরা যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে। এই ঘটনা ঘটেছে মালদহের কালিয়াচক-১ ব্লকের সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। ওই পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ ১৮ জন সদস্য কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। কালিয়াচক-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতিও আছেন সেই তালিকায়।
দলত্যাগীদের অভিযোগ, টাকা নিয়ে আসন বিক্রি করেছে তৃণমূল। দলবদলুদের দাবি, সুজাপুর অঞ্চলের দু’হাজার মানুষ তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। সুজাপুরের কংগ্রেস সভাপতি ইমরান আলির দাবি, এর ফলে কালিয়াচকে তাঁদের সংগঠন আরও শক্তিশালী হল। টিকিট না পাওয়ায় ১৮ জন পঞ্চায়েত সদস্যের দলবদল করার বিষয়টিকে আমল দিচ্ছে না তৃণমূল। এই আবহেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য পুষ্পরানি বিশ্বাস। দল বদল করেই বৃহস্পতিবার হাবড়া-২ ব্লক থেকে বিজেপির হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির অনুগামীকে প্রার্থী করার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার পশ্চিম বর্ধমানের অণ্ডালের কাজোড়া-সরিষাডাঙা এলাকায় পথ অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। ভিন্ন ছবি দেখা গিয়েছে মালদহ বামফ্রন্টে। সিপিএম দ্বিচারিতা করছে এই অভিযোগ তুলে মালদহ জেলা পরিষদের ৪৩টি আসনের মধ্যে ছ’টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে আরএসপি। অবশ্য বাম ঐক্যে ফাটলের কথা মানতে নারাজ সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।