রাস্তার বেহাল অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই। প্রতীকী ছবি।
মোরাম রাস্তার বেহাল অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই। অবিলম্বে সেই রাস্তা পাকা করার দাবিতে রাস্তা কেটে ও বাঁশ দিয়ে ঘিরে বিক্ষোভে সামিল হলেন এলাকার মানুষ। বুধবার সকালে তমলুকের হরশঙ্কর গ্রামে এই ঘটনায় তমলুক ও পাঁশকুড়া ব্লকের বাসিন্দারা ওই রাস্তায় যাতায়াত করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হন। বিক্ষোভকারী রাস্তা পাকার বিষয়ে তমলুকের বিডিওর লিখিত প্রতিশ্রুতির দাবিতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিক্ষোভ চালান। ওই রাস্তায় গাড়ি চলাচল এমনকী সাইকেল চালাতেও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, হলদিয়া-মেচেদা জাতীয় সড়কে তমলুকের রামতারকহাট থেকে গড়কিল্লা ও হরশঙ্কর হয়ে পাঁশকুড়ার জোড়াপুকুর পর্যন্ত ওই রাস্তায় স্থানীয় নীলকুন্ঠিয়া পঞ্চায়েত ছাড়াও কোলাঘাট ব্লকের দেড়িয়াচক ও পাঁশকুড়া ব্লকের খন্ডখোলা, রঘুনাথবাড়ি পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা রামতারকহাট হয়ে মেচেদা স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডে যাতায়াত করেন।
হরশঙ্কর-চণ্ডীপুর রোড নামে ওই রাস্তায় হরশঙ্কর গ্রামের কাছে প্রায় এক কিলোমিটার অংশের মধ্যে ৫০০ মিটার মোরাম হয় কয়েক বছর আগে। বাকি অংশ দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বেহাল। বর্ষায় ওই রাস্তা জল কাদায় আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। রাস্তা পাকা করার দাবিতে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও তমলুক ব্লকের বিডিওর কাছে একাধিকবার দাবি জানানো হলেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে দাবি বিক্ষোভকারীদের। অষ্টমীর দিন ওই রাস্তায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী দুর্ঘটনায় পড়েন। মঙ্গলবার ফের এক মহিলা দুর্ঘটনায় জখম হন। এরপরই ক্ষুদ্ধ স্থানীয় জনতা রাস্তা অবিলম্বে পাকা করার দাবি তুলে রাস্তা কেটে দেন। বাঁশের বেড়া দিয়ে সমস্ত গাড়ি যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিজয়া দশমীর দিন ব্যস্ত রাস্তায় এমন ঘটনায় বহু মানুষ হয়রানির শিকার হন।
বিক্ষোভকারীদের একজন অঞ্জলি শী বলেন, ‘‘আমরা পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের কাছে আগে অনেক বার দাবি জানিয়েছি। কিন্তু রাস্তা মেরামত বা পাকা করতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপের জন্য বাধ্য হয়েই রাস্তা কাটা হয়েছে।’’ নীলকুন্ঠিয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান অশোক পাইক বলেন, ‘‘প্রায় এক কিলোমিটার ওই গ্রামীণ রাস্তা আগে চলাচলের অযোগ্য ছিল। কয়েক বছর আগে জেলাপরিষদের সহায়তায় রাস্তার সম্প্রসারণ ও প্রায় অর্ধেক অংশ পাকা করা হয়েছিল। বাকি অংশ পাকার জন্য জেলাপরিষদের কাছে জানিয়েছি। টাকা বরাদ্দ হলেই রাস্তা পাকা হবে। কিন্তু যে ভাবে পুজোর সময় রাস্তা কেটে মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে তা সমর্থনযোগ্য নয়।’’