কিছু সাংবাদিকও টাকা খান: মমতা

এ দিন বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের উপর জবাবি বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যাশিত ভাবেই কাটমানি প্রসঙ্গ তোলেন। সেই সূত্রেই তাঁর দল তৃণমূলের মাত্র ০.০১% অসৎ বলেও ফের উল্লেখ করেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৯ ০১:১৬
Share:

—ফাইল চিত্র।

সাংবাদিকদের একাংশ টাকার বিনিময়ে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে অন্যদের ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ করিয়ে দেন বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি, তিনি ওই সাংবাদিকদের নাম জানেন। কিন্তু বলছেন না। ওই ধরনের সাংবাদিকরা অনেকেই একাধিক বাড়ি, গাড়ি করেছেন বলেও মমতা দাবি করেন।

Advertisement

এ দিন বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের উপর জবাবি বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যাশিত ভাবেই কাটমানি প্রসঙ্গ তোলেন। সেই সূত্রেই তাঁর দল তৃণমূলের মাত্র ০.০১% অসৎ বলেও ফের উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সব পেশাতেই কিছু খারাপ লোক থাকে। পুলিশ, অফিসার, রাজনীতিক টাকা খায় না, কেউ বলতে পারবে? আর সাংবাদিকদের কারা কারা টাকা নিয়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করিয়ে দেন, আমি জানি। তাঁরা আবার লেখেন। সবাইকে জ্ঞান দেন। আমার মুখ খুলিয়ে লাভ নেই।’’ তাঁর মন্তব্য, ‘‘প্রকৃত সাংবাদিকতা করো। তা হলে স্যালুট জানাব।’’

তিনি ওই সাংবাদিকদের নাম বলে ফেলতে উদ্যত হওয়ায় তাঁকে হাত নেড়ে থামান বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। মমতা বলেন, ‘‘মান্নান বারণ করছেন, তাই নাম বলছি না।’’ কেন তিনি নাম বলতে নিষেধ করলেন, তার ব্যাখ্যা দিয়ে পরে মান্নান বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যে সাংবাদিকেরই নাম বলতে চান না কেন, সেই সাংবাদিকের তো বিধানসভায় আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ নেই। কিন্তু একবার এ ভাবে নাম বলা শুরু হলে বিভিন্ন সময়ে তিনি বিভিন্ন সাংবাদিকের নাম বলতে থাকবেন। এটা বাঞ্ছনীয় নয়।’’

Advertisement

এর পরেই বিধানসভায় তাঁর ঘরে আরও একবার বিষয়টি উত্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি একাধিক বাড়ি-গাড়ির অভিযোগ আনেন এবং ফের বলেন, ‘‘কারা কারা ওই কাজ করেছে, তাঁদের নাম বলে দিতে পারি।’’ সেখানে উপস্থিত মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন তখন মুখ্যমন্ত্রীকে নিরস্ত করে বলেন, ‘‘না না, দিদি, দরকার নেই। নাম বলতে হবে না।’’

সাংবাদিক বা সংবাদমাধ্যম সম্পর্কে অতীতেও বহুবার বহু অভিযোগ করেছেন মমতা। পঞ্চায়েত ভোট থেকে লোকসভা ভোট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকমহল ও নির্দিষ্ট ভাবে দু-একটি সংবাদপত্র এবং সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি তাদের ‘বিজেপির কেনা’ বলেও প্রকাশ্যে আঙুল তুলেছেন। এ দিনও সেই সুরেই তিনি বলেন, ‘‘ভোটের পরে রাজনৈতিক সংঘর্ষ যা হচ্ছে, তার থেকে বেশি প্রচার করছে সংবাদমাধ্যমের একাংশ। বিজেপি কোটি কোটি টাকা ওড়াচ্ছে। বিজেপি কিনে রেখেছে। তাই বিকৃত খবর দেখাচ্ছে। বিজেপির ভয়ে আসল সত্য চেপে যাচ্ছে তারা।’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement