পান চাষ। —ফাইল চিত্র।
পান পাতার বিক্রি নিয়ে নানা অভিযোগ উঠছিল। সেই সব সমস্যা নিয়ে বৈঠক করে সমাধানসূত্র বার করার চেষ্টা করল রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতর। শুক্রবারের বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়, পান পাতা বিক্রিতে কোনও তারতম্য থাকবে না। দাম নির্ধারণ হবে ফলনের ভিত্তিতে। ফলে বছরের বিভিন্ন সময়ে পান পাতার দামে পার্থক্য থাকবে।
পান পাতা বিক্রি হয় ‘গুছি’তে। এক ‘গুছি’তে থাকে ৫০টি করে পাতা। অভিযোগ, এক ‘গুছি’তে পান পাতার সংখ্যা এবং তাঁর দাম নির্ধারণের পদ্ধতি ইচ্ছেমতো করা হয়। সেই অভিযোগ সামনে আসতেই তৎপর হয় প্রশাসন। মূলত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা গিয়েছিল। সেই সমস্যা সমাধানের জন্য পান চাষি এবং ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে একাধিক বার বৈঠক করেছেন দফতরের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। শুক্রবারের বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন তিনি।
রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতর বৈঠক। —নিজস্ব চিত্র।
বৈঠকে ঠিক হয়েছে জেলা ভিত্তিতে পানের ‘গুছি’তে ৫০টি করেই পাতা থাকবে। অনেক ক্ষেত্রে গুণগত মানের দোহাই দিয়ে পাতা সংখ্যা কমানো হয়। এ বার থেকে তা বন্ধ করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন মরসুমে পান চাষের ফলনের তারতম্যের জন্য কৃষকেরা যাতে ক্ষতির মুখে না পড়েন, সে দিকে নজর দেওয়া হবে। তাঁরা যাতে পানের ফলনের সঠিক মূল্য পেতে পারেন তা নির্ধারিত করতে পদক্ষেপ করা হয়েছে। সারা বছর পানের ফলনের উপর ভিত্তি করে তিন পর্বে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি পর্বের জন্য নূন্যতম মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে বেচারাম বলেন, ‘‘পান চাষ নিয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করতে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে। পান চাষিদের কথা মাথায় রেখেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।’’ শুক্রবারের বৈঠকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ১ অক্টোবর থেকে নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে সকলকে।