Sovandeb Chattapadhyay

Crops: শস্য নষ্ট, বিমার টাকা বণ্টনে মন্ত্রীর বৈঠক

আবার আলুর যে-চাষ শুরু হয়েছে, তাতে জমিতে জল জমে যাওয়ায় ফসল নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:২৮
Share:

ভরাডুবি: ধানখেত থেকে বৃষ্টির জল বার করার চেষ্টা চাষির। সোমবার গোঘাটের সাতবেড়িয়ায়। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ।

ঘূর্ণিঝড় প্রতাপ সংবরণ করায় এ-যাত্রা বাড়িঘর, গাছপালা ভাঙচুর এড়ানো গিয়েছে ঠিকই। কিন্তু ঝড়ের সঙ্গী হয়ে আসা বৃষ্টিতে গত দু’দিনে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে রাজ্য সরকার। কৃষি দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জমি থেকে জল কতটা বার সম্ভব হচ্ছে, তার উপরে ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত পরিমাণ নির্ভর করবে। তার আগে, সোমবার ছ’টি জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা এবং বিমা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিমার টাকা পেতে যাতে সমস্যা না-হয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে মন্ত্রীর বৈঠকে।

Advertisement

ফসলের মধ্যে ধান ও আলু চাষেরই সমধিক ক্ষতির আশঙ্কা করছে সরকার। কারণ, বৃষ্টি শুরুর আগে অনেক পাকা ধান কেটে খামারে বা গুদামে মজুত করা যায়নি। আবার আলুর যে-চাষ শুরু হয়েছে, তাতে জমিতে জল জমে যাওয়ায় ফসল নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে। আনাজ চাষেও এই অকালবর্ষণের প্রভাব পড়েছে।

কৃষি বিশেষজ্ঞেরা জানান, জমি থেকে জল বার করার চেষ্টা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। যত দ্রুত জল বার করা যাবে, ক্ষতির পরিমাণ ততই কমানো সম্ভব হবে। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ছ’টি জেলা হল পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রাম। ধানের ক্ষতি ধরলে দক্ষিণ ২৪ পরগনাও এই তালিকায় যুক্ত হবে। কৃষিমন্ত্রী এ দিন বলেন, “ক্ষয়ক্ষতির সমীক্ষা চলছে। জমি থেকে জল বার করে দেওয়ার পরেই চূড়ান্ত হিসেব পাওয়া যাবে। তবে বিমা সংস্থাগুলিকে বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা যেন বিমার টাকা পেতে কোনও ঝামেলায় না-পড়েন।”

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, নতুন কৃষকবন্ধু প্রকল্পের আওতায় অন্তত ৭৬ লক্ষ কৃষককে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের কাজ আজ, মঙ্গলবারেই শুরু হতে চলেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement