কলকাতার পুরভোটের আগে ছিল বিনামূল্যে ক্যানসার চিকিৎসার ঘোষণা। সেই সঙ্গেই ডিমের উপরে শুল্ক কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। এ বার ৯১টি পুরসভার ভোটের আগে বিভিন্ন জেলায় ৬টি স্মার্ট সিটির ঘোষণা করে তাদের নামকরণ। পুরভোটের মুখে এবং প্রচারের সময়সীমা ফুরিয়ে যাওয়ার পরে বারবার এমন ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী বিধি ভাঙছেন বলে অভিযোগ করল বিরোধীরা।
তৃণমূলের তরফে শুক্রবার জানানোহয়, আসানসোল-দুর্গাপুর, শিলিগুড়ি, গজলডোবা, কল্যাণী, বোলপুর ওকামালগাজিতে (গড়িয়া) নতুন স্মার্টসিটি গড়ে উঠবে পিপিপি মডেলে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির জন্য বাড়ির ব্যবস্থা করাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। এই শহরগুলিতে যে টাউনশিপ গড়ে উঠবে, সেখানে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ২৫% বাড়ি সংরক্ষণ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী এই ৬টি স্মার্ট সিটির নামকরণ করে প্রকল্পের উপযোগিতাও ব্যাখ্যা করেছেন বলে জানানো হয়েছে। জেলায় জেলায় পুরভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী কী ভাবে সরকারি প্রকল্পের ঘোষণা করেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এ দিনই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে সিপিএম। আর এক বিরোধী দল বিজেপি-ও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে।
সিপিএম নেতা রবীন দেব বলেন, ‘‘কলকাতার ভোটের আগের দিন ক্যানসার চিকিৎসার ঘোষণা করেছিলেন। এ বার স্মার্ট সিটি। মুখ্যমন্ত্রী প্রতি বারই এই ভাবে আদর্শ আচরণবিধি ভেঙে চলেছেন। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, আর কবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে?’’ এ বার ৯১টি পুরসভার ভোটের জন্য যে ৩২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে, তা-ও এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রীই। রবীনবাবুদের অভিযোগ, এটা জানানোর কথা কমিশনের। রাজ্য প্রশাসনের তরফে স্বরাষ্ট্রসচিবও বলতে পারেন। এই বিষয়টিও তাঁরা কমিশনে গিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সুশান্তরঞ্জনকে জানান। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রবণতা দেখে বিজেপি বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, ‘‘গণতান্ত্রিক দল হলে তাদের কাছে কিছু আশা যায়। কিন্তু তৃণমূলের মতো অগণতান্ত্রিক এবং অসংসদীয় একটি দল বিবেচনার ঊর্ধ্বে!’’ তৃণমূল অবশ্য বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে বলেছে, কমিশন কিছু জানতে চাইলে ব্যাখ্যা দেওয়া হবে।