ফাইল ছবি
করোনার তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী। ঢেউ সামলাতে সময় থাকতেই পরিকাঠামো বাড়াতে উঠে পড়ে লেগেছে স্বাস্থ্যভবন থেকে শুরু করে শহরের বেসরকারি হাসপাতাল। কিন্ত জেলা, মফসসলে অনেকেরই ভরসা এলাকার নার্সিংহোম। কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ে, আগের চেয়ে বেশি শিশু আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটা মাথায় রেখে রাজ্যের ছোট এবং মাঝারি ১৮০০ নার্সিংহোম ও হাসপাতালে ন্যূনতম দু’টি করে শয্যা শিশুদের জন্য তৈরি রাখা হচ্ছে।
জেলা বা মফসসলের নার্সিংহোম থেকে শয্যার অভাবে করোনা আক্রান্ত শিশুকে ফিরিয়ে না দেওয়ার বার্তা দিয়েছে ছোট মাঝারি নার্সিংহোম ও হাসপাতালগুলির সংগঠন। একাধিক ছোট নার্সিংহোমে শিশুদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন সরবরাহের আধুনিক ব্যবস্থা, বাইপ্যাপ নেই। সমস্যার সমাধান করতে জেলার কয়েকটি ছোট নার্সিংহোম ও হাসপাতাল মিলিত ভাবে ভেন্টিলেটর কেনার সিদ্ধান্তও নিয়েছে বলে জানান ছোট ও মাঝারি নার্সিংহোম এবং হাসপাতালগুলির সংগঠনের চেয়ারম্যান শেখ আলহাজউদ্দিন। পাশাপাশি জেলার তুলনামূলক বড় হাসপাতালগুলি তৃতীয় ঢেউয়ে শিশু চিকিৎসায় ছোট নার্সিংহোমগুলির পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও তৃতীয় ঢেউয়ে করোনা আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা সত্যি হলে জেলায় প্রয়োজনীয় শিশু চিকিৎসক এবং প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নার্সের সঙ্কটের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা।