—ফাইল চিত্র।
দলের মধ্যে ভিন্ রাজ্যের নেতারা নানা প্রশ্ন তুললেও বাংলায় নির্বাচনী কৌশলের পাশেই দাঁড়াল সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি। তাদের মতে, কংগ্রেস এবং নবগঠিত ইন্ডিয়ান সেকিউলার ফ্রন্টকে (আইএসএফ) সঙ্গে নিয়ে বাংলায় আলিমুদ্দিন স্ট্রিট যা করেছিল, তা বিজেপি ও তৃণমূলের মোকাবিলায় নির্বাচনী সমঝোতা। তার বাইরে পাকাপাকি কোনও রাজনৈতিক ফ্রন্ট নয়। বঙ্গের নেতাদের প্রচারে সংযুক্ত মোর্চাকে অনেক সময় রাজনৈতিক ফ্রন্ট বলে ধারণা তৈরি হয়েছে এবং তাতে ‘বিভ্রান্তি’ও হয়েছে। এই সংক্রান্ত হুঁশিয়ারি রেখেই বাংলায় দলের নির্বাচনী কৌশলে সায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে যা পাশ হয়ে গিয়েছে।
পাঁচ বছর আগে বিধানসভা ভোটের পরে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার সিদ্ধান্তকে অনুমোদন করেনি সিপিএমের তৎকালীন কেন্দ্রীয় কমিটি। সীতারাম ইয়েচুরির নেতৃত্বে এ বারের কেন্দ্রীয় কমিটির পর্যালোচনা রিপোর্টে রাজ্যের পদক্ষেপের পক্ষে সায় সেই দিক থেকে বঙ্গ সিপিএমের কাছে স্বস্তিজনক। কেন্দ্রীয় কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে শুক্রবারই বাংলায় নির্বাচনী রণকৌশলের প্রশ্নে তর্ক-যুদ্ধ বেধেছিল। সেই আলোচনার শেষ পর্বে শনিবার বাংলার আরও দুই নেতা যুক্তি দিয়েছেন, কেন তাঁরা এখানে কংগ্রেস এবং আইএসএফ-কে সঙ্গে নিয়ে ভোটে লড়েছিলেন। মৌলবাদী বা সাম্প্রদায়িক কোনও বক্তব্য যে সংযুক্ত মোর্চার প্রচারে ছিল না, তা-ও বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তাঁরা। পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনী পর্যালোচনার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় কমিটি যে রিপোর্ট তৈরি করেছে, সেখানে বাংলার পরিস্থিতির ‘বাস্তবতা’ই তুলে ধরা হয়েছে। এবং তা গৃহীতও হয়েছে।
এরই পাশাপাশি, জাতীয় স্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে সব বিরোধী দলের ঐক্যবদ্ধ লড়াইকে আরও মজবুত করার কথা হয়েছে এ দিন। বৈঠকের শেষ দিনে আজ, রবিবার সাংগঠনিক ও সম্মেলন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।