Rampurhat

Rampurhat clash: প্রত্যক্ষদর্শীদের সুরক্ষা চেয়ে চিঠি পাঠাল সিট

সিটের দাবি, ওই গ্রামে সোমবার রাতে মৃত আট জনের মধ্যে এক মহিলাকে খুন করার পরে আগুনে পোড়ানো হয়েছিল।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২২ ০৫:১৯
Share:

ফাইল চিত্র।

রামপুরহাটে বগটুই গ্রামে সোমবার রাতের অগ্নিতাণ্ডবের প্রত্যক্ষদর্শীদের নিরাপত্তা চেয়ে বীরভূম জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিল ‘সিট’ বা বিশেষ তদন্তকারী দল। বৃহস্পতিবার তাদের তরফে ওই চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সিট সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ঘটনার তদন্তে নেমে সিটের গোয়েন্দারা প্রথম থেকেই প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান নেওয়ার কাজ শুরু করেছিলেন। দগ্ধ, বিধ্বস্ত গ্রামে আপাতত কেউ নেই। ইতিমধ্যেই রামপুরহাট হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বয়ান নিয়েছেন তদন্তকারীরা। অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসা করেছেন তাঁরাই।
দমকলকর্মীদের বয়ানও নথিভুক্ত করছে সিট। কারণ, সে-রাতে আগুন লাগার পরে তাঁরাই প্রথমে বগটুই গ্রামে গিয়েছিলেন। দগ্ধ দেহ উদ্ধার করেছিলেন তাঁরাই।

সিট সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রত্যক্ষদর্শীদের নিরাপত্তা দিতে বলা হয়েছে, যাতে ফের কোনও রকম অনভিপ্রেত ঘটনা না-ঘটে এবং একই সঙ্গে তাঁদের সুরক্ষাও নিশ্চিত করা যায়। রামপুরহাট কাণ্ডে ধৃতদের জেরা করার জন্য সিআইডি-র অফিসারদের নিয়ে একাধিক দল গঠন করেছে সিট। তারাই বয়ান নথিভুক্ত করছে।

Advertisement

সিটের দাবি, ওই গ্রামে সোমবার রাতে মৃত আট জনের মধ্যে এক মহিলাকে খুন করার পরে আগুনে পোড়ানো হয়েছিল। আট জনের মধ্যে সঞ্জু শেখের বাড়ি থেকে সাত জনকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বাকি এক জন মহিলার মৃত্যু হয় হাসপাতালে। ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী ওই মহিলার দেহে মাত্র ৩০ শতাংশ আগুনে পোড়ার চিহ্ন মিলেছে। তা দেখে তদন্তকারীদের একটি অংশের অনুমান, ওই মহিলাকে মারধর করার পরে আগুন লাগানো হয়েছিল। এর আগে প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশও দাবি করেছিলেন, সে-রাতে মারধরের পরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। সিটের অভিযোগ, আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় নেতৃত্ব দেয় আজাদ, লালন ও বাপ্পা শেখ। আজাদ ও লালন সিটের হাতে ধরা পড়লেও বাপ্পা এখনও অধরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement