ওই চা বাগানের গেটে ফোরামের মিটিং। —নিজস্ব চিত্র।
শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি-সহ বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে বানারহাটে অবস্থান কর্মসূচি পালন করল জয়েন্ট ফোরাম। শনিবার কাজে যোগ দেওয়ার আগে জলপাইগুড়ির ওই চা বাগানের গেটে মিটিংও করেন শ্রমিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ফোরামের নেতারা।
ফোরামের নেতাদের হুমকি, ১৪ ডিসেম্বরের বৈঠকে ন্যূনতম মজুরি নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলে পরের মরসুমে এক কেজি চা পাতাও বাগানের বাইরে যেতে দেওয়া হবে না। শনিবারের মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন জয়েন্ট ফোরামের শীর্ষ নেতা জিয়াউল আলম, সিটু নেতা অজয় মাহালি, লক্ষণ সান্যাল, তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা আজাদ গোস্বামী-সহ অন্যান্য নেতা। জিয়াউল আলম বলেন, ‘‘গত ৩, ৪ এবং ৫ ডিসেম্বর— এই তিন দিন মিটিং করে ২০১৭ সালের ১ এপ্রিল থেকে চা শ্রমিক-কর্মচারীদের যে চারটি অন্তর্বর্তীকালীন মজুরি দেওয়া হয়েছিল, তার হিসেবনিকেশ চূড়ান্ত করার কথা ছিল।’’ তবে সরকার সে প্রতিশ্রুতি পালন করেনি বলে অভিযোগ তাঁর।
ফোরামের দেওয়া খসড়া অনুযায়ী আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করার কথা ছিল বলেও জানিয়েছেন জিয়াউল। সে জন্য ফোরামের কাছে তিন দিনের সময় চেয়ে নিলেও সরকার সেই বৈঠক দু’দিনে কমিয়ে আনে এবং শেষমেষ ওই বৈঠক তিন ঘণ্টায় শেষ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে’, ইস্তফার জল্পনা ওড়ালেন মৌসম
আরও পড়ুন: আসানসোলে বিজেপির কর্মসূচিতে গুলি, বোমা, আহত বেশ কয়েকজন
১৪ ডিসেম্বর ফের শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। গেট মিটিংয়ে শ্রমিকদের সামনে গোটা বিষয়টিই তুলে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জিয়াউল।