Child Adoption

পিঁপড়ের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত সেই সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে দত্তক নিলেন কানাডার ‘সিঙ্গল মাদার’

হোম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ২ আগস্ট ঝাড়গ্রাম থানার কাদডিহা জঙ্গল থেকে সদ্যোজাত শিশুকন্যাটিকে উদ্ধার করা হয়েছিল। জঙ্গলের পড়ে থাকার সময় পিঁপড়ের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত ছিল শিশুটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২৩ ২২:০৬
Share:

নতুন পরিবার পেল শিশুকন্যা। প্রতীকী ছবি।

জঙ্গলে পড়েছিল সদ্যোজাত শিশুকন্যা। গোটা দেহে পিঁপড়ের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত। উদ্ধার হওয়ার পর দীর্ঘ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল সে। এর পর ঠাঁই হয়েছিল দত্তক হোমে। সে দিনের সেই সদ্যোজাতকে বুধবার দত্তক নিলেন কানাডার এক শিক্ষিকা। শিশুটির যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এই ‘সিঙ্গল মাদার’। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রামের একটি হোম থেকে আরও এক শিশুকে দত্তক নিয়েছেন স্পেনের এক দম্পতি। বুধবার দুই শিশুই নতুন পরিবার পেয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়া নিবেদিতা গ্রামীণ কর্মমন্দিরে দু’টি শিশুকে তাদের নতুন পরিবারে হস্তান্তর করা হয়। সে সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা লোকআদালতের সম্পাদক সুনীল শর্মা, জেলা শিশুসুরক্ষা ইউনিটের আধিকারিক সঙ্গীতা পড়িয়া, মানিকপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান কল্যাণী মুদি-সহ দত্তক হোমের কতৃপক্ষ।

হোম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ২ আগস্ট ঝাড়গ্রাম থানার কাদডিহা জঙ্গল থেকে সদ্যোজাত শিশুকন্যাটিকে উদ্ধার করা হয়েছিল। জঙ্গলের পড়ে থাকার সময় পিঁপড়ের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত ছিল শিশুটি। দীর্ঘ দিন ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল সে। পরে মেদিনীপুরের শিশুকল্যাণ কমিটির নির্দেশে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মানিকপাড়া দত্তক হোমে রাখা হয়েছিল তাকে। বুধবার প্রয়োজনীয় নিয়মকানুন মেনে ওই শিশুকন্যাকে দত্তক নেন কানাডার এক শিক্ষিকা।

Advertisement

বুধবার ওই হোমের এক শিশুপুত্রকেও দত্তক নিয়েছেন স্পেনের এক দম্পতি। হোম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২০২১ সালের অগস্টে বেলেবেড়া থানার পদিমা গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছিল শিশুটি। উদ্ধারের পর তাকে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এর পর মেদিনীপুরের শিশুকল্যাণ কমিটির নির্দেশ পরের বছরের জানুয়ারিতে ওই দত্তক হোমে পাঠানো হয়। শিশুটির দত্তক পিতা-মাতা দু’জনেই চাকরি করেন।

হোম সূত্রে খবর, আন্তর্জাতিক দত্তক আইন মেনে শিশু দু’টিকে দত্তক নেওয়া হয়েছে। এর আগে এই হোম থেকে শিশুদের দত্তক নিয়েছেন আমেরিকা, স্পেন এবং কানাডার নাগরিক। এই হোমের সম্পাদক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রয়োজনীয় সব রকম আইন মেনে দু’টি শিশুকে বুধবার দত্তক দেওয়া হয়েছে। তাদের দত্তক নিয়েছেন স্পেন এবং কানাডার দুই দম্পতি। আশা করি, শিশু দু’টির ভবিষ্যৎ উজ্বল হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement