স্কুল সূত্রের খবর, দুর্ঘটনায় জখম হয়েছে স্কুলের অষ্টম শ্রেণির সি সেকশনের পড়ুয়া মজিদ সরকার। সোমবার দুপুরে সি সেকশনের ক্লাস চলাকালীন হঠাৎই সিলিং ফ্যানটি খুলে পড়ে যায়।
জখম পড়ুয়া মজিদ সরকার। —নিজস্ব চিত্র।
অষ্টম শ্রেণির ক্লাস চলাকালীন চলন্ত সিলিং ফ্যান খুলে পড়ল এক পড়ুয়ার উপর। এই দুর্ঘটনার জেরে ওই প়ড়ুয়ার নাকে আঘাত লাগে। ফ্যানের ব্লেডে ওই পড়ুয়ার নাক কেটে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ুয়াকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুলের এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে বরখাস্ত করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্কুল সূত্রের খবর, দুর্ঘটনায় জখম হয়েছে স্কুলের অষ্টম শ্রেণির সি সেকশনের পড়ুয়া মজিদ সরকার। সোমবার দুপুরে সি সেকশনের ক্লাস চলাকালীন হঠাৎই সিলিং ফ্যানটি খুলে পড়ে যায়। ফ্যানের ব্লেডে নাক কেটে যায় মজিদের। তার নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। খবর পেয়ে মজিদকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান স্কুলশিক্ষকেরা। জখম পড়ুয়ার নাকে তিনটি সেলাই করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। আপাতত মজিদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
সোমবার মজিদের দুর্ঘটমার খবর পেয়ে তার মা-বাবা স্কুলে ছুটে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। মজিদের বাবা মজিদুল রহমান বলেন, ‘‘স্কুল থেকে ফোন আসার পরই আমরা ছুটে যাই। ছেলের এই পরিস্থিতি খবর দেন হেডমাষ্টার মশাই। এমন দুর্ঘটনা যেন ভবিষ্যতে অন্য কারও সঙ্গে না ঘটে।’’
এই দুর্ঘটনার কারণ খুঁজছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল দত্ত বলেন, ‘‘লকডাউনের পর সব কিছুর খতিয়ে দেখার পরই স্কুল খোলা হয়েছে৷ তার পরও এমন দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। স্কুলে ইলেকট্রিকের জিনিসপত্র সরবরাহকারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পুনরায় সব কিছুর খতিয়ে করা হবে।’’