সোমবার বিকেলে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে রাজভবনে যান শুভেন্দু। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি বলেন, ‘‘আমরা রাজ্যপালের শারীরিক সুস্থতা কামনা করেছি। তাঁকে বলেছি, সবার আগে আপনার ডাক্তার দেখানো দরকার। আপনি যেভাবে নিগৃহীত হয়েছেন, তাতে আপনার ডাক্তার দেখানো উচিত।’’
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ফাইল চিত্র
বাজেট বক্তৃতা দিতে এলেশারীরিক ভাবে হেনস্থা হতে হয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ খনখড়কে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু পাল্টা জবাবে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন তাঁরাই হেনস্থার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন রাজ্যপালকে।
সোমবার বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন সরগরম রইল শাসক-বিরোধী তরজায়। রাজ্যপালকে কেন্দ্র করে এই এই রাজনৈতিক তরজা বিধানসভা থেকে পৌঁছল রাজভবনের অলিন্দে।
অধিবেশন শেষে বিধানসভা ছাড়ার সময় রাজ্যপালের হেনস্থায় বিজেপি-কে অভিযুক্ত করেন পার্থ। বরং অধিবেশনের পরিবেশ উত্তপ্ত হওয়ার জন্য রাজ্যপালকেই দায়ি করেন তিনি। পরিষদীয়মন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যপাল নিজের ভূমিকা পালন করেননি। তিনি নিজের ক্ষমতা ব্যবহার করেও বিজেপি বিধায়কদের শান্ত হতে বলেননি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যপাল যাতে হেনস্থার শিকার না হন বিধানসভার নিরাপত্তারক্ষীরা ছিলেন। যাঁরা নিরাপত্তা দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ?’’ বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, তৃণমূলের মহিলা বিধায়করাই রাজ্যপালকে হেনস্থা করেছেন। জবাবে পার্থ বলেছেন, ‘‘আমাদের হেনস্থা করার কোনও প্রয়োজন নেই। বরং আমরাই তাঁকে হেনস্থার হাত থেকে বাঁচিয়েছি।’’
সোমবার বিকেলে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে রাজভবনে যান শুভেন্দু। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি বলেন, ‘‘আমরা রাজ্যপালের শারীরিক সুস্থতা কামনা করেছি। তাঁকে বলেছি, সবার আগে আপনার ডাক্তার দেখানো দরকার। আপনি যেভাবে নিগৃহীত হয়েছেন, তাতে আপনার ডাক্তার দেখানো উচিত।’’