Shovan Chatterjee

আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল কুণাল, পাল্টা দাবি শোভনের

সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র দাবি করলেন, কোনও চিটফান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২১ ২১:৪২
Share:

কুণাল ঘোষ ও শোভন চট্টোপাধ্যায়

মঙ্গলবার ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তার জবাব দিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। দাবি করলেন, কোনও চিটফান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না তিনি। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, কুণাল নাকি তাঁকে ফাঁসানোরও চেষ্টা করেছিলেন।

Advertisement

শোভনের দাবি, ‘‘কুণাল মিথ্যা কথা বলছেন, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। কোনও চিটফান্ডের একশো কিলোমিটারের মধ্যে আমার সম্পর্ক নেই। আমার ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে কখনওই এই ধরনের কোনও অভিযোগ ওঠেনি। আইকোরের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল না।’’ আইকোরের প্রয়াত কর্ণধার অনুকূল মাইতির সঙ্গে শোভনের ছবি সাংবাদিক সম্মেলনে দেখান কুণাল। বলেন, ‘‘গতকাল শোভন আমার সম্পর্কে অনেক বড় বড় কথা বললেন। কিন্তু, আগে উনি জবাব দিন আইকোর চিটফান্ডের সঙ্গে তাঁর কীসের যোগাযোগ? উনি তো ওই চিটফান্ডের অনুষ্ঠানে গিয়ে সংস্থার কর্তা প্রয়াত অনুকূল মাইতি ও তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আইকোরের হয়ে সওয়াল করেছিলেন। ওটা এজেন্ট বৈঠক ছিল।’’ উত্তরে বেহালা পূর্বের বিধায়ক বলেন, ‘‘উত্তম মঞ্চ এক সময় বিক্রি হয়েছিল। আইকোরকে বলেছিলাম উত্তম মঞ্চ ভেঙে বহুতল করা যাবে না। নিয়ম মেনে পুরসভা থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। উত্তম মঞ্চ তৈরির পর উদ্বোধনেও যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে যেমন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তেমনই আমি ছিলাম। আইকোরের প্রতিনিধি হিসেব তাঁরাও ছিলেন। এখন কেউ যদি নির্বাক চিত্র দেখিয়ে কেউ কিছু প্রমাণের চেষ্টা করেন। তাহলে তিনিই হাসির খোরাক হবেন।’’

শোভনের অভিযোগ, ‘‘ও একে একে দলের নেতৃত্বকে ফাঁসিয়েছে। আমাকেও ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল। সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে কথা বলানোর চেষ্টা করেছিল কুণাল। কিন্তু আমি রাজি হইনি। আমি অনেক আগে থেকেই কুণাল ঘোষের মতো কুখ্যাত ব্যক্তিকে চিনে নিয়েছিলাম।’’ এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল অভিযোগ করেন, ‘‘অ্যাম্বুল্যান্স কেনার টাকা আমার এমপি ল্যাড থেকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও অ্যাম্বুল্যান্সেই আমার নাম ছিল না। সব নাম মুছে ফেলা হয়েছিল। ওই অ্যাম্বুল্যান্স আদৌ কেনা হয়েছিল কি না তাও আমার জানা নেই।’’ শোভন বলছেন, ‘‘সারদার টাকায় যে ২০টি অ্যাম্বুলেন্স ও ১০০টি মোটর সাইকেল কেনা হয়েছিল, সেগুলো তো টাকা তোলার কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলকে সর্বক্ষেত্রে বিতর্কিত করেছিলেন কুণাল।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘সুদীপ্তর থেকে কোটি টাকা ঘুষ’! শোভনকে গ্রেফতারের দাবি কুণালের​

আরও পড়ুন: শুধু মন্ত্রিত্বই নয়, এক মহিলার জন্য সন্তানও ছেড়েছেন শোভন: রত্না

এ দিন শোভনের পক্ষ নিয়ে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘যখন জেলে ছিলেন তখন মমতা, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মদনের নাম নিয়েছিলেন কুণাল। তখন মুখে শোভনের নাম নেননি, এখন কেন শোভনের নাম? নারদায় তো আরও অনেক তৃণমূল নেতাদের টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। তাঁদের কেন নাম বলছেন না উনি?’’ কুণালের অভিযোগের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষিকা হওয়ার মর্যাদা তৃণমূল কেড়ে নিয়েছিল। আমি কখনও শোভনকে দেখিনি ঘুষ নিতে। কুণাল ঘোষ দেখে থাকলে কেন প্রতিবাদ করেননি?’’

আরও পড়ুন: ভোটের আগে বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী পালন রাজ্য জুড়ে

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement