—ফাইল চিত্র।
সাহিত্য অকাদেমির ‘ফেলো’ নির্বাচিত হলেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। এই সম্মান অকাদেমি সেই সাহিত্যিকদেরই জানায়, যাঁরা সংস্থার মতে ‘অমর সাহিত্যের স্রষ্টা’। সে হিসেবে দেখলে, এটি অকাদেমির সর্বোচ্চ সম্মান।
শীর্ষেন্দুর সঙ্গে আরও সাত জন ভারতীয় লেখককে এই সম্মান জানাল সাহিত্য অকাদেমি। বিভিন্ন ভারতীয় ভাষার সাহিত্যিক রয়েছেন সেই তালিকায়। রয়েছেন ইংরেজি ভাষার সাহিত্যিক রাসকিন বন্ড, মরাঠি কবি-প্রাবন্ধিক বালচন্দ্র নেমাডেও।
শীর্ষেন্দু তাঁর সৃষ্টির জন্য একাধিক পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে বিদ্যাসাগর পুরস্কার, আনন্দ পুরস্কার, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারও।
১৯৬৭ সালে প্রথম উপন্যাস ‘ঘুণপোকা’-তেই পাঠকের নজর কেড়েছিলেন শীর্ষেন্দু। তার পর একে একে প্রকাশিত হয় ‘কাগজের বউ’, ‘যাও পাখি’, ‘মানবজমিন’, ‘দূরবীন’-এর মতো সাড়া জাগানো উপন্যাস। বাংলা ছোটগল্পের আঙিনাতেও সফল অভিযান আজও অব্যাহত রয়েছে ৮৫ বছর বয়সি এই কথাকারের। পাশাপাশি ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’, ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’ বা ‘পাতালঘর’-এর মতো চমকপ্রদ কিশোর-কাহিনিতেও তাঁর কলম সমান দক্ষ। বাংলা সাহিত্যে জাদুবাস্তবতার এক অন্য নিদর্শন তিনি রেখেছেন এবং রেখে চলেছেন।
এর আগে সাহিত্য অকাদেমির ফেলো নির্বাচিত হয়েছেন সুভাষ মুখোপাধ্যায়, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, শঙ্খ ঘোষের মতো ব্যক্তিত্ব।
অকাদেমির তরফে জানানো হয়েছে, একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে শীর্ষেন্দুর হাতে তুলে দেওয়া হবে এই সম্মানের স্মারক।