Shatrughan Sinha

মোদী-স্তুতির পর মমতার বৈঠকে প্রশংসা পরেশ রাওয়ালের! বেফাঁস বিহারিবাবু 'খামোশ' হলেন কী ভাবে?

পাশেই ছিলেন দলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। শত্রুঘ্ন বলতে শুরু করেন পরেশ রাওয়াল তাঁর বন্ধু এবং খুবই ভাল অভিনেতা! সব চেয়ে বড় কথা তিনি মানুষ হিসাবেও বেশ ভাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:৫১
Share:

ফাইল চিত্র।

শত্রুঘ্ন সিনহাকে তৃণমূল আসানসোল থেকে জিতিয়ে এনেছে ঠিকই। কিন্তু এই ‘বিহারিবাবু’কে নিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের! দলকে অস্বস্তিতে ফলে সম্প্রতি সাংসদ হিসাবে কাজের খতিয়ান দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢালাও প্রশংসা শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে। এর পরে আর এক কাণ্ড! গত সাত তারিখ দিল্লিতে সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়িতে মমতা তৃণমূলের সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। সূত্রের খবর, সব তৃণমূল সাংসদ যখন একে একে নেত্রীর সামনে নিজেদের বক্তব্য পেশ করছেন, শত্রুঘ্নও কিছু বলতে চান।

Advertisement

পাশেই ছিলেন দলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। শত্রুঘ্ন বলতে শুরু করেন পরেশ রাওয়াল তাঁর বন্ধু এবং খুবই ভাল অভিনেতা! সব চেয়ে বড় কথা তিনি মানুষ হিসাবেও বেশ ভাল। বৈঠকে উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, এটা শোনার পরই ত্র্যস্ত ডেরেক আসানসোনের সাংসদের হাঁটুতে মৃদু চাপড় মেরে সংকেত দেওয়ার চেষ্টা করেন, আর না-এগিয়ে এখানেই থামতে! বার্তা বুঝে অবশ্য আর কথা বাড়াননি শত্রুঘ্ন। ‘খামোশ’ হয়ে যান। নেত্রীর কান পর্যন্ত এই পরেশ-স্তূতি পৌঁছয়নি বলেই জানা গিয়েছে।

গত মাসেই গুজরাত বিধানসভায় প্রচারে গিয়ে পরেশ রাওয়াল বাঙালিদের নিয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন তাতে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁর বক্তব্য ফিরিয়ে নিয়ে ক্ষমা চান রাওয়াল। পরেশকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “গ্যাস সিলিন্ডারের দাম পরে কমে যাবে। লোকে চাকরিও পাবে।” কিন্তু একটি সংশয় থেকেই যাবে বলে উল্লেখ করেছিলেন পরেশ। বলেছিলেন, “মুদ্রাস্ফীতি সহ্য করতে পারবেন গুজরাতের মানুষ। কিন্তু পাশের বাড়িতে যদি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু কিংবা অনুপ্রবেশকারীরা এসে ওঠেন, তখন গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে কী করবেন? পড়শি বাঙালিদের জন্য মাছ ভাজবেন?”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement