Shantipur

তৃণমূল নেতার বার্তা ‘পোস্ট’, প্রশ্নে ওসি

পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের টিকিট না পেয়ে যাঁরা নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন, তাঁদের তা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে কয়েক দিন আগে তৃণমূলের জেলা সভাপতি দেবাশীষ গঙ্গোপাধ্যায় ওই বার্তা দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিপুর শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৩ ০৭:১৮
Share:

—প্রতীকী ছবি।

তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতির ভিডিয়ো বার্তা একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ‘ফরওয়ার্ড’ করে দেওয়ার ঘটনায় বিতর্কের মুখে পড়েছেন নদিয়ার শান্তিপুর থানার ওসি সুব্রত মালাকার।

Advertisement

পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের টিকিট না পেয়ে যাঁরা নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন, তাঁদের তা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে কয়েক দিন আগে তৃণমূলের জেলা সভাপতি দেবাশীষ গঙ্গোপাধ্যায় ওই বার্তা দেন। মঙ্গলবার ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। আগের রাতে ওসি-র মোবাইল নম্বর থেকে একটি গ্রুপে ওই ভিডিয়ো পোস্ট করে তা প্রচার করার আবেদনও জানানো হয় বলে দাবি। খানিক বাদে ওসি ভিডিয়ো বার্তাটি মুছে দেন। তবে ততক্ষণে বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে।

রানাঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি জগন্নাথ সরকার অভিযোগ করছেন, ‘‘শান্তিপুরের ওসি এখন তৃণমূলের ব্লক সভাপতির মতো আচরণ করছেন। এই ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।’’ সিপিএমের নদিয়া জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুমিত বিশ্বাসের মতে, ‘‘প্রত্যেকটি থানা যে তৃণমূলের দফতরে পরিণত হয়েছে, তা প্রমাণ হয়ে গেল।”

Advertisement

তবে শান্তিপুর থানার ওসি সুব্রত মালাকারের দাবি, কারিগরি সমস্যার কারণে ভুলবশত ভিডিয়ো ফরওয়ার্ড হয়ে গিয়েছিল। বিষয়টি নজরে আসার পরেই তা মুছে দেওয়া হয়েছে। বার্তাটি যাঁর, সেই তৃণমূল নেতা দেবাশীষও বলেন, ‘‘অনেক সময় সমাজমাধ্যমে অনেক জিনিস অনিচ্ছাকৃত ভাবে ফরওয়ার্ড হয়ে যায়। দল আর প্রশাসন কোনও ভাবেই সম্পৃক্ত নয়।’’ রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কে কন্নন বলেন, ‘‘বিষয়টি এখনও আমাদের নজরে আসেনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement