বুধবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত শান্তনুর শুনানি ছিল নগর দায়রা আদালতে। ফাইল চিত্র
এক জনের বিচরণক্ষেত্র মুর্শিদাবাদ, অন্য জনের হুগলি। এক জন তৃণমূলের বিধায়ক, অন্য জন তৃণমূলেরই নেতা ছিলেন। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন দু’জনেই। তবে বিধায়ক প্রসঙ্গে প্রশ্ন এক রকম এড়িয়েই গেলেন শাসকদল তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁকে। দেখা গেল শান্তনু সন্তর্পণে এড়িয়ে গেলেন প্রশ্নটি। জবাবে বললেন সম্পূর্ণ অন্য কথা।
বুধবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত শান্তনুর শুনানি ছিল নগর দায়রা আদালতে। দুপুরেই প্রেসিডেন্সি জেল থেকে আদালত চত্বরে আনা হয় তাঁকে। শান্তনুকে দেখেই উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা প্রশ্ন ছুড়ে দেন তাঁকে। জানতে চাওয়া হয় জীবনকৃষ্ণের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তিনি কি কিছু বলতে চান? জবাবে কিছুটা নির্বিকার ভাবেই শান্তনু বলেন, ‘‘সবাইকে নববর্ষ এবং ইদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’’
শান্তনুর বিরুদ্ধে স্কুল ছাড়াও আরও বিভিন্ন সরকারি চাকরির নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে ইডি। বিভিন্ন সময়ে তারা এমনও দাবি করেছে যে, শান্তনুর সঙ্গে উপর মহলের অনেকের যোগাযোগ ছিল। অন্য দিকে জীবনকৃষ্ণর বিরুদ্ধে যে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তাতে বড়ঞার বিধায়কের অধীনে কয়েকশো এজেন্ট কাজ করত বলে অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। বিভিন্ন জেলায় সেই এজেন্টরা ছড়িয়ে ছিল, এমনটাই সন্দেহ করা হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।