Sandeshkhali Incident

এ বার শাহজাহানের ভাই আলমগিরও গ্রেফতার, ইডির উপর হামলায় আরও দু’জন সিবিআইয়ের জালে

সিবিআই সূত্রে খবর, আলমগিরের ছাড়াও যে দু’জন গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁদের নাম মাফুজার মোল্লা এবং সিরাজুল মোল্লা। দু’জনেই সন্দেশখালির বাসিন্দা। মাফুজার সন্দেশখালি ১ ব্লকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৪ ২০:৪৬
Share:

আলমগির শেখ এবং শাহজাহান শেখ। —ফাইল চিত্র।

সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনায় এ বার শাহজাহান শেখের ভাই আলমগির শেখও গ্রেফতার হলেন। শনিবার সকালে সিবিআইয়ের দফতর নিজ়াম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছিলেন আলমগির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আলমগিরের সঙ্গে সিবিআই দফতরে আরও দু’জনকে তলব করা হয়েছিল। তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

সিবিআই সূত্রে খবর, আলমগিরের ছাড়াও যে দু’জন গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁদের নাম মাফুজার মোল্লা এবং সিরাজুল মোল্লা। দু’জনেই সন্দেশখালির বাসিন্দা। মাফুজার সন্দেশখালি ১ ব্লকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি। ইডির উপর হামলার ঘটনায় আগেই শাহজাহান-সহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদের বয়ান এবং যা সব তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে, তার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে আলমগির-সহ তিন জনকে।

আদালতের নির্দেশে সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। অন্যতম মূল অভিযুক্ত শাহজাহান এখন তাঁদেরই হেফাজতে রয়েছেন। সিবিআইয়ের দল বেশ কয়েক বার সন্দেশখালি থেকে ঘুরে এসেছে। সন্দেহভাজনদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে এবং ধরিয়ে এসেছে তলবের নোটিস। শাহজাহানের ভাই আলমগিরের বাড়িতেও গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা। সেই নোটিস অনুযায়ীই শনিবার সকালে তিনি নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছিলেন।

Advertisement

শাহজাহানের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। তারাও কিছু দিন আগে সন্দেশখালিতে গিয়েছিল এবং কয়েক জনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল। তার ভিত্তিতে শনিবার সিজিওতে ডাকা হয়েছে শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ দু’জনকে। শুক্রবারও তারা সংশ্লিষ্ট দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন।

গত ৫ জানুয়ারি রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলার তদন্তের জন্য শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। কিন্তু বাড়তে তারা ঢুকতেই পারেনি। শাহজাহানের অনুগামীরা বাড়ির বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান এবং ইডি আধিকারিকদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। তাঁদের হাসপাতালেও ভর্তি করানো হয়েছিল। তার পর থেকে শাহজাহান নিখোঁজ ছিলেন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তার পর কলকাতা হাই কোর্ট তাঁকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। গত ১৪ মার্চ শাহজাহানকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তাঁকে আরও আট দিন সিবিআই হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement