শাজাহান শেখ। —ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী ‘সমাজসেবী’ হিসাবে সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। কিন্তু বসিরহাটের সেই দুই ‘শক্তিমান’ নেতা শাজাহান শেখ ও বাবুমাস্টারকে নিয়ে দলীয় বিধায়কদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন দলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্ব। এবং তাঁদের চাপেই এই দু’জনকে সাংগঠনিক দায়িত্বের বাইরে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি সন্দেশখালির হানাহানিতে নাম উঠেছিল শাজাহানের।
জেলার পাঁচটি লোকসভা আসনের দুটি হাতছাড়া হওয়ায় উত্তর ২৪ পরগনায় সংগঠন সাজাচ্ছে তৃণমূল। গত সপ্তাহেই জেলার পাঁচ লোকসভা আসনের দলীয় কাজকর্ম পরিচালনার ভার জেলার পাঁচ নেতার হাতে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হাতছাড়া এলাকা ফিরে পেতে সেই প্রস্তুতি নিয়ে দলীয় নেতৃত্ব যে পথে এগোচ্ছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল দলের মধ্যেই। সোমবার জেলার বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠেক বসেছিলেন জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই বৈঠকেই আলোচনার সময় বসিরহাটের কাজকর্মের জন্য যে কমিটি করা হয়, তাতে শাজাহান ও বাবুমাস্টারের নাম দেখে আপত্তি ওঠে। মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ এই দু’জনের ভাবমূর্তি নিয়ে আপত্তি জানান। তাঁকে সমর্থন জানিয়ে এই দু’জনকে দায়িত্বে না রাখার কথা বলেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। আরও দু’তিন জন বিধায়কও তখন আপত্তি জানাতে শুরু করেন। তখন ঠিক হয় জেলার প্রবীন নেতা কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়কে মাথায় রেখে শুধু স্থানীয় বিধায়কদের নিয়েই কমিটি হবে।
বসিরহাট মহকুমার এই দুই নেতা বরাবরই বিতর্কে। বাম আমলে সিপিএমের ঘনিষ্ঠতার সূত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে আঙুল তুলত তৃণমূল। এখন তৃণমূল ঘনিষ্ঠতার কারণে একই অভিযোগ করে বিরোধীরা। সন্দেশখালিতে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যুর পরও তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।