সভার জেরে যানজট। — নিজস্ব চিত্র।
বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের ‘ইনসাফ সভা’য় ভিড়ের চাপে মঙ্গলবার থমকে গেল ধর্মতলা মোড়। ভরদুপুরে শহরের প্রাণকেন্দ্রে স্তব্ধ হয়ে গেল যান চলাচল। আর তার জেরে ভোগান্তিতে পড়লেন অসংখ্য মানুষ।
ধর্মতলার মোড়ে টিপু সুলতান মসজিদের কাছে মঙ্গলবার সভা শুরু করে বামেদের ছাত্র-যুব সংগঠন। তার জেরে সভাস্থল সংলগ্ন চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ এবং লেনিন সরণি দিয়ে ধর্মতলা এলাকায় গাড়ি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি, বন্ধ হয়ে যায় রাজভবনের দিক থেকেও ধর্মতলার দিকে গাড়ি চলাচলও। কিছু গাড়িকে লেনিন সরণির দিক থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এর জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা। তার জের গিয়ে পৌঁছয় শহরের অন্যান্য অংশেও।
মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে ‘ইনসাফ সভা’র ডাক দিয়ে বলা হয়েছিল ‘ধর্মতলা চলো’। আনিস খান হত্যা থেকে শুরু করে কলকাতার রাস্তায় দিনের পর দিন আন্দোলনে বসা চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্য চাকরি দেওয়ার দাবিতে ছিল ওই সভা। সকাল পর্যন্ত ঠিক ছিল, ধর্মতলা ট্রাম গুমটির পাশে এই সভা হবে। সেই মতো চেয়ার পেতে সাজানোও হয় সভাস্থল। কিন্তু বেলা বাড়তেই ভিড়ের ঠেলায় উপচে পড়ে রাস্তা। তার ফলে বাধ্য হয়েই সভাস্থল করা হয় ধর্মতলার মোড়। বেলা বাড়তেই ধর্মতলা চত্বরে সমাবেশে ভিড় বাড়তে শুরু করে। কথা ছিল, শিয়ালদহ স্টেশন, হাওড়া স্টেশন এবং পার্ক স্ট্রিটে বাম ছাত্র-যুবরা জমায়েত করে, সেখান থেকে মিছিল করে যোগ দেবেন ধর্মতলার ট্রাম ট্রামিনাসের কাছের সভাস্থলে। ওই তিনটি মিছিলের ভিড় ধর্মতলায় পৌঁছতেই ক্রমশ ওই এলাকা জনতার দখলে চলে যায়। যার জের গিয়ে পড়ে যান চলাচলের উপর। এর ফলে তীব্র ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষ।