প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
প্রায় ১৫ বছর আগে চাকরির পরীক্ষায় বসেছিলেন ওঁরা। তার পর আইনি জটিলতায় কেটে গিয়েছে বহু দিন। শেষমেশ চাকরির মুখ দেখতে চলেছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার এক দল প্রাথমিক শিক্ষক পদের চাকরিপ্রার্থী।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, মামলাকারীদের চাকরি দিতে হবে। দু’সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। এর পাশাপাশি পূর্ববর্তী প্যানেলে অনিয়ম এবং স্বজনপোষণের যে অভিযোগ উঠেছে সে ব্যাপারেও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক সংসদের কাছে জবাব তলব করেছেন বিচারপতি।
এই মামলাকারীদের পরীক্ষা হয়েছিল ২০০৯ সালে। প্যানেলও তৈরি হয়েছিল। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পরে তৃণমূল সরকার ওই প্যানেল বাতিল করে এবং ২০১৫ সালে নতুন করে পরীক্ষা নেয়। মামলাকারীদের আইনজীবী রবিলাল মৈত্র, রাজীতলাল মৈত্র, সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়, আলি হাসান আলমগীর জানান, ২০১৫ সালে যে প্যানেল তৈরি হয়েছিল তাতে স্বজনপোষণ হয়েছিল। সেখানেও বেশি নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের বাদ দিয়ে কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে মালদহ, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়ায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। এর আগে অন্য জেলাগুলিতেও একই ভাবে চাকরি পেয়েছেন মামলাকারীরা।