বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত উপভোক্তাদের নাম আবাস প্রকল্পের মূল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আবাসের মূল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন না প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উপভোক্তারা। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, আপাতত দু’টি পৃথক তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলায় জেলায়। বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি হলে তা প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরের অনুমোদনের পরে চূড়ান্ত হবে।
কেন্দ্র তাদের বরাদ্দ না দেওয়ার কারণে নিজেরাই আবাস প্রকল্পের পুরো বরাদ্দ দেবে বলে ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এ নিয়ে আবাসের মূল তালিকার পুনর্যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। আবার সরকারেরই ঘোষণা ছিল, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা যে সব মানুষের ঘর ভেঙেছে, তাঁদেরও বাড়ি তৈরির বরাদ্দ দেওয়া হবে। ফলে আবাস তালিকার পুনর্যাচাইয়ের সঙ্গে সেই তালিকা তৈরির কাজও চলছে। কিন্তু বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত উপভোক্তাদের নাম আবাস প্রকল্পের মূল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না।
পঞ্চায়তমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের বক্তব্য, ‘‘দু’টি তালিকা আলাদা হবে। বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা পাঠানো হবে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। তার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’’
কেন এই সিদ্ধান্ত? প্রশাসনিক ব্যাখ্যায় বলা হচ্ছে, ২০২২ সালে আবাস যোজনার উপভোক্তা তালিকাটি অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্র। তাতে প্রায় ১১ লক্ষ উপভোক্তার নাম রয়েছে। কিন্তু তাতে এখন নতুন করে আর অন্য নাম যুক্ত করা যাবে না। বরং পুনর্যাচাইয়ে যদি উপভোক্তা যোগ্য বলে প্রমাণিত না হন, তা হলে তাঁর নাম বাদ যাবে। সেই কারণে বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের নাম ওই তালিকায় যুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। তবে ইতিমধ্যেই আবাসের মূল তালিকা পুনর্যাচাই ঘিরে বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভের খবর পাওয়া যাচ্ছে। অনেকেই দাবি করছেন, যোগ্য হওয়ার পরেও তাঁদের নাম বাদ যাচ্ছে তালিকা থেকে। তা সামাল দিতে ‘মানবিক’ হয়ে তালিকা সংস্কারের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। এমনকি, ক্ষেত্রবিশেষে কেন্দ্রের ‘কড়া’ বিধি শিথিলও করা হয়েছে।